ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের নবম ম্যাচে এসেও জয় পেল মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৮৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে আসলো সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। ম্যাচে কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি রোহিত শর্মার মুম্বাই। টস বাদে আর কোন কিছুই জিততে পারেনি মুম্বাই।
এ ম্যাচেও দাপট দেখিয়েছে হায়দারাবাদের পেসাররা। ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হায়দারাবাদের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মুম্বাইর ব্যাটসম্যানরা। এ ম্যাচেও বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য আতংক হিসেবে ছিলেন মুস্তাফিজ। ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অথচ মুস্তাফিজ যখন বোলিংয়ে আসেন তখন বিপক্ষে দলের ৫০ রানে নেই ৬ উইকেট! শুরুতেই আশীষ নেহরার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মুম্বাই। আশীষ নেহেরা নেন ১৫ রানে ৩ উইকেট। পিছিয়ে ছিলেন না স্রান, ভুবনেশ্বর কুমার, ময়সেস হেনরিকসও। প্রত্যেকেই পেয়েছেন সাফল্য। ১৬.৩ ওভারেই মাত্র ৯২ রানে অলআউট হয় মুম্বাই। মুম্বাইর হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন হরভজন সিং। ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন আশীষ নেহেরা।
এর আগে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার এবং শেখর ধাওয়ানের ৮৫ রানের জুটির সুবাদে বড় সংগ্রহ করার ভিত পায় হায়দারাবাদ। হাফ সেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থাকতে ডেভিড ওয়ার্নার আউট হলে কেন উইলিয়ামসনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন কিউই অধিনায়ক। তৃতীয় উইকেটে যুবরাজ সিং এবং শেখর ধাওয়ানের ৮৫ রানের জুটিই মূলত সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে দেড়শোর কোটা পার করায়। যুবরাজ সিং শেষ ওভারে ৩৯ রান করে আউট হলেও অন্য প্রান্তে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন শেখর ধাওয়ান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। মুম্বাইর হয়ে হরভজন সিং ২৯ রানে দুই উইকেট নেন। এই ম্যাচ জিতে রান রেটের ব্যবধানে কলকাতা এবং গুজরাট লায়ন্সকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.