প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। প্রযুক্তিগত দিক থেকেও আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে হবে সামনের দিকে। নীতিমালা ছাড়া কোনো কিছু চলতে পারে না। আমরা এরই মধ্যে আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্রের খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছি। এই খসড়া নীতিমালা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে। শিগরিই সবার মতামত নিয়েই আইন প্রণয়ন করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের সিনেমা দেখার আগ্রহের কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে বেশি সিনেমা দেখতে পারি না। তবে মাঝে মধ্যে জীবন ধর্মী কিছু ছবি দেখি। আমাদের দেশের কিছু চলচ্চিত্র দেখে মনে দাগ কাটে। আমাদের শিশুরা এতো ভালো অভিনয় করে। তাদের অভিনয় দেখে অবাক হই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কথা ভেবেই আমরা বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি করে দিয়েছি। ফিল্ম সিটির জন্য ১০৫ একর জায়গা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট করেছি। সরকার চলচ্চিত্রের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা করে যাবে।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়, সমাজ সংস্কার এরও একটি বড় মাধ্যম। তাই শুধু বিনোদন মূলক চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সমাজ সংস্কার মূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চলচ্চিত্রের পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসতে হব।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.