দীপালি। টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘বাজে ছেলে’। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি_
যখন অনেকে বলছেন চলচ্চিত্রে বাঁকবদল হচ্ছে, ঠিক সে সময় মুক্তি পেয়েছে ‘বাজে ছেলে’। এটি গৎবাঁধা চলচ্চিত্র থেকে কতটা আলাদা বলে মনে করেন?
এখন অনেক তরুণ নির্মাতার আবির্ভাব ঘটেছে। তারা ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন বলে অনেকে এমন মন্তব্য করেছেন। সোহেল-বাবু তরুণ নির্মাতা। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নির্মাণকে তারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। এ কারণে সমকালীন দর্শকের কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করেছেন ‘বাজে ছেলে’ ছবিটি। আমরা যারা অভিনয় করেছি তাদেরও চেষ্টা ছিল ভালো একটি মাধ্যমে দর্শকের কাছাকাছি যাওয়ার।
ছবিটি দর্শকরা কীভাবে গ্রহণ করেছে, জানার চেষ্টা করেছেন?
এখনও ঢাকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে রাজধানীর জোনাকি, পূর্ণিমা ও মধুমিতা সিনেমা হলে গিয়েছিলাম। সেখানে ছবি নিয়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে অভিভূত হয়েছি।
ছবির কোন বিষয়টি দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে?
দর্শকের ভালো লাগার প্রধান কারণ এর গল্প। এতে সমকালীন বাস্তব চিত্র গল্পের আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সবসময় সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রকে সৎ এবং নির্দোষ দেখতে পাই। কিন্তু এ ছবিতে আমারা যাকে নায়ক বলছি. তাকে দোষ-গুণসম্পন্ন রক্ত-মাংসের মানুষরূপেই দেখানো হয়েছে। পরিবেশ, পরিস্থিতি কত সহজে মানুষকে বদলে দিতে পারে, তার একটি উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে ‘বাজে ছেলে’ ছবিতে।
টিভি ও মঞ্চে কাজ করেছেন, এখন দেখা যায় না_ কারণ কী?
বড় পর্দায় নিয়মিত কাজ করতে চাই। এজন্য টিভি নাটকে এখন অভিনয় করছি না। এ কথা ঠিক, পিপলস থিয়েটার হয়ে মঞ্চে অভিনয় করে নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। অন্যদিকে শিহাব শাহীনের ‘রমিজের আয়না’ থেকে শুরু করে ‘সাতকাহন’সহ যেসব টিভি নাটকে অভিনয় করেছি, তা আমাকে প্রতিটি মাধ্যমে অভিনয়ের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.