বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশ বদলে গেছে। কারণ দেশে এখন প্রযুক্তি ব্যবহারে কোনো ভেদাভেদ নেই। এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই প্রযুক্তির সুফল ভোগ করতে পারছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশকে আধুনিক দেশগুলোর প্রযুক্তির কাতারে নিয়ে যেতে হলে দেশে এ ধরনের ল্যাপটপ মেলা খুব প্রয়োজন। এই মেলাগুলো সাধারণ মানুষকে প্রযুক্তি ব্যবহারে যেমন আগ্রহী করে তোলে, তেমনি আবার এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও স্বল্প দামে ল্যাপটপসহ আনুষঙ্গিক জিনিস কিনতে পারে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামার ল্যাপটপ ফেয়ার ২০১৬-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। এক্সপো মেকারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান। এ ছাড়া ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান, আসুসের কান্ট্রি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আল ফুয়াদ, এসারের সেলস কনসালট্যান্ট সাকিব হাসান এবং এইচপির রিটেইল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মোহাম্মদ আদেল এবং এক্সপো মেকারের পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসনাইন সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি মুনির হাসান বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের নষ্ট সময় কমে যাচ্ছে। সময়ের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট মানুষকে সমান করে দিয়েছে। আমাদের তরুণদের ডিজিটাল ডিভাইস দিলে তাঁদের কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। দেশ এগিয়ে যাবে।’
মন্ত্রী পরে প্রদীপ জ্বেলে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং মেলা ঘুরে দেখেন।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বিকেল ৪টায় হলেও মেলা শুরু হয় সকাল ১০টায়। মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের এটি ১৭তম ল্যাপটপ মেলা। এতে চারটি প্যাভিলিয়ন, সাতটি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৫৪টি স্টলে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে।
এবারের মেলায় এসার, আসুস, ডেল, এইচপি, লাভা, লেনোভো, তোশিবা, টুইনমস, গিগাবাইট, ডিলাক্স, এক্সট্রিম, লজিটেক, ডিলিংক, আইনল, শাওমি, মাইক্রোল্যাব, অ্যাভিরা, ইসেট অ্যান্টিভাইরাস, ইন্টেল সিকিউরিটি, রাপু, এডাটা, পান্ডার মতো ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এই প্রদর্শনীতে পাওয়া যাচ্ছে ট্যাবলেট কম্পিউটার, ইন্টারনেট সিকিউরিটি পণ্য ও ল্যাপটপের আনুসঙ্গিক গ্যাজেটও। বিশেষ ছাড়, উপহারের পাশাপাশি মেলায় বেশ কয়েকটি নতুন মডেলের ল্যাপটপের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
প্রতিবারের মতো এবার মেলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (facebook.com/laptopfair.bd) কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কুইজে অংশ নিয়ে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোনসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেওয়া যাবে।
এবারের মেলার সহ-পৃষ্ঠপোষক ল্যাপটপ ব্র্যান্ড এসার, আসুস, ডেল ও এইচপি। এ ছাড়া স্মার্টফোন পার্টনার হিসেবে লাভা এবং পার্টনার হিসেবে রয়েছে পিপলস রেডিও, টেকশহরডটকম ও এডুমেকার।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ভ্যাটসহ ৩০ টাকা। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় কিংবা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারছে। প্রতিবন্ধীরাও বিনামূল্যে প্রবেশের এই সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া টেকশহরডটকমের অ্যাপ ডাউনলোড করেও বিনামূল্যে প্রবেশের সুবিধা রয়েছে।
মেলার টিকেট থেকে আয়ের অর্থ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী সোমার চিকিৎসা সহায়তায় দেওয়া হবে। তাঁর বাবা একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.