শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া এলাকায় এক কবিরাজের বাড়ি থেকে কল্পনা বেগম (২৮) নামের নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলী সফিপুর গ্রামে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোসাইরহাট থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলী সফিপুর গ্রামের কল্পনা বেগম নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর বাবা আ. মজিদ বেপারী ও মা মুকুলী বেগমকে সঙ্গে নিয়ে গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামে কবিরাজ আনাস উদ্দিন ওরফে আনোয়ার ফকিরের বাড়িতে আসেন। সেখানে তাঁরা আলমগীর মৃধার ঘরে রাত যাপন করেন। পরদিন বুধবার কবিরাজ আনাস উদ্দিনকে দেখানোর পরে রাত হয়ে যায়। এ কারণে বাড়ি ফিরতে না পেরে আলমগীর মৃধার ঘরে তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর বাবা পাশের কক্ষে ঘুমান। রাত ২টার দিকে কল্পনার মা মুকুলী বেগম মেয়ের গোঙানি শুনে ঘুম থেকে জেগে মেয়ের গলাকাটা দেখে চিৎকার দেন। আশপাশের লোকজন এসে গোসাইরহাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বাবা-মা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। এ ঘটনায় আপাতত গোসাইরহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। খবর পেয়ে মুলাদী থেকে নিহত কল্পনার তিন মেয়ে ইভা (৮), আরিফা (৪) ও জামিনা (২) দাদার সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে মায়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এ ব্যাপারে নিহত কল্পনার মা মুকুলী বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের কী হয়েছে কীভাবে মারা গেছে, আমি জানি না। রাত ২টায় গোঙানি শুনে আমি জেগে দেখি তার গলা কাটা। তার গোঙানি শুনে আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আসে। কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কল্পনা বেগমের গলায় কাটা চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.