ঢাকার ধামরাই উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে খামারিদের প্রশিক্ষণ ভাতা পুরোপুরি না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের প্রাণী পুষ্টি উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের অর্থায়নে ৫ ও ৬ জুন সুফলভোগী ও সংযোগ খামারিদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ধামরাই প্রাণিসম্পদ অফিসের আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর জন্য ৫০০ টাকা ভাতা নির্ধারিত ছিল। তবে এ ভাতা ৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়। ২৫ প্রশিক্ষণার্থী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী জানান, প্রশিক্ষণ ভাতা কম দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মে খোরশেদ আলমকে সহায়তা করেন অফিস সহকারী আবু বকর সিদ্দিক।
উপজেলার পাঠানটোলা গ্রামের ফারুক হোসেন, সুঙ্গর গ্রামের জসিমউদ্দিন ও একলাসউদ্দিন বলেন, প্রশিক্ষণে অংশ নিলে ৫০০ টাকা পাওার কথা। তবে দেওয়া হয়েছে ৪০০ টাকা।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ১৬টি ইউনিয়নে ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবী এআই আছেন। তাঁরা পশু-পাখির টিকা দিয়ে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মাসে ২০০ টাকা করে নেন।
গত সপ্তাহে সানোড়া ইউনিয়নের খাগুর্তা গ্রামের ২০ জন দরিদ্র গ্রামবাসীকে ভেড়া পালন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশি ভেড়ার উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ওই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ ভাতা ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
এভাবে যতবার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে, ততবারই প্রশিক্ষণার্থীদের খোরশেদ আলম টাকা কম দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধামরাইয়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীদের ১০০ টাকা করে কম দেওয়া হয়েছে। কারণ, রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও এজি খরচ তাদের কাছ থেকে কাটা হয়নি। যে টাকা রাখা হয়েছে, তার মধ্যে থেকে খরচ ধরা হয়। সরকারি অফিসগুলো এভাবেই চলে। মূলত বিষয়টি নিয়ে অফিসের এক কর্মী খোঁচাখুঁচি করছে।’
বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক তালুকদার মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.