মাত্র আটটি রান করতে পারলেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম শতক পূর্ণ করতে পারতেন মারলন স্যামুয়েলস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যবশত পড়েছিলেন রানআউটের ফাঁদে। তবে ম্যাচ শেষে শতক না পাওয়ার জন্য আক্ষেপ করেননি স্যামুয়েলস। দলকে জেতাতে পেরেই খুশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ত্রিদেশীয় সিরিজে স্যামুয়েলসের ৯২ রানের ইনিংসটির সুবাদেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে স্যামুয়েলস বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি। ১০০ রান করে দল হারার চেয়ে এটা অনেক ভালো।’
২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিলেন উইন্ডিজের দুই ওপেনার জনসন চার্লস (৪৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৭)। উদ্বোধনী জুটিতে তাঁরা যোগ করেছিলেন ৭৪ রান। ১৪ ওভারের মধ্যে দুজনেই সাজঘরে ফিরলেও খুব বেশি চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি ক্যারিবীয়দের। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন স্যামুয়েলস ও ড্যারেন ব্রাভো। ৩১তম ওভারে ৩৯ রান করে ব্রাভো আউট হওয়ার পর স্যামুয়েলস জুটি বেঁধেছিলেন দিনেশ রামদিনের সঙ্গে। চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেন স্যামুয়েলস-রামদিন। ইনিংসের শেষপর্যায়ে দ্রুত তিনটি উইকেট হারালেও তাই হতাশ হতে হয়নি স্বাগতিকদের। ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন কাইরন পোলার্ড। ৪৪তম ওভারে আউট হওয়ার আগে রামদিন খেলেছেন ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস।
স্যামুয়েলসের মতো অল্পের জন্য শতকবঞ্চিত হতে হয়েছে উসমান খাজাকেও। মাত্র দুই রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটির দেখা পাননি অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ খেলেছেন ৯৫ বলে ৭৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের দারুণ জুটি গড়েছিলেন খাজা ও স্মিথ। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জর্জ বেইলিও খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। এই তিন অর্ধশতকে ভর করেই স্কোরবোর্ডে ২৬৫ রান জমা করতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.