এক নির্বাচনে প্রচারাভিযানে হিলারি এবং বার্নি স্যান্ডারস। ছবি : নিউইয়র্ক টাইমস
দুই সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন ও বার্নি স্যান্ডারসের লড়াই। শেষ পর্যন্ত মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
হিলারি এবং স্যান্ডারসের উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইন জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা এক ঘরোয়া বৈঠকে মিলিত হন। আসছে সাধারণ নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়তে কী ধরনের মৈত্রী গড়ে তুলতে পারেন, তা নিয়ে একে অপরের অবস্থান জানতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
এর আগে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি ভোটে জয়ী হলে তাঁদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে। এরপর এটা তাঁদের প্রথম বৈঠক।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বৈঠকে প্রধান এজেন্ডা ছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে জবাব দেওয়া। এ ছাড়া স্যান্ডারস নীতিগত ছাড় বা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি চান কি না তা জানতে চেয়েছেন হিলারি। জবাবে স্যান্ডারস ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো ও কলেজছাত্রদের আর্থিক চাপ কমানোর মতো প্রগতিশীল লক্ষ্য অর্জন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে আরো স্বচ্ছ করার বিষয়ে হিলারির প্রতিশ্রুতি কামনা করেন।
হিলারির উপদেষ্টা আশা করেছেন, স্যান্ডারস হিলারির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এক দ্ব্যর্থহীন ভাষণ দেবেন। স্যান্ডারসের প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা রয়েছে। তিনি প্রায় এক কোটি ২০ লাখ ভোট ও এক হাজার ৮৭৭ ডেলিগেটের সমর্থন পান। অন্যদিকে হিলারি পান প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ ভোট ও দুই হাজার ৭৮৪ ডেলিগেটের সমর্থন।
গত মাসে নিউইয়র্ক টাইমস/সিবিএস নিউজের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, স্যান্ডারসের সমর্থকদের শতকরা ২৮ ভাগ জানিয়েছিলেন হিলারি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেলেও তাঁকে ভোট দেবেন না।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.