বর্তমানে সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটি সুপার কম্পিউটার রয়েছে। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় এবার নাম লেখালো চীনে নির্মিত সুপার কম্পিউটার ‘সানওয়ে তাইহু লাইট’। শুধু নাম লেখানোতেই থেমে থাকেনি। তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারের জায়গাটিও দখল করেছে চীনা সুপার কম্পিউটারটি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
সুপার কম্পিউটারের মালিক হওয়া চীনের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে শীর্ষ স্থান দখল করে থাকা সুপার কম্পিউটারটিও চীনাদের হাতেই তৈরি। তবে একদিক থেকে সানওয়ে তাইহু লাইট পূর্ববর্তী সকল চীনা সুপার কম্পিউটার থেকে অনন্য।
কারণ চীনাদের নতুন এই সৃষ্টির আপাদমস্তক চীনে তৈরী যন্ত্রাংশ দিয়ে নির্মিত। আগের তিয়ানহি-২ সুপার কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়েছিল মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের চিপ। চীনের এই সুপার কম্পিউটারের বিশালত্ব বোঝানোর জন্য এটির চিপকে তুলনা করা যেতে পারে ইন্টেলের সর্বশেষ কোরআই ৭ প্রসেসরের সাথে। যেখানে ইন্টেলের এই প্রসেসরে রয়েছে ১০টি কর্মক্ষম কোর সেখানে সানওয়ে তাইহু লাইটে রয়েছে এক কোটিরও বেশি কোর।
তালিকায় তৃতীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার টাইনের সাথে কার্যক্ষমতার দিকে থেকে যার তফাৎ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে থাকা টাইটান রয়েছে ওক রিজ ন্যাশলান ল্যাবরেটরিতে, যার কোর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ৬০ হাজার।
সুবিশাল সুপার কম্পিউটারটি কাজের দিক থেকেও অতীতের সকল সুপার কম্পিউটারের চাইতে অনেক এগিয়ে। প্রতি সেকেন্ডে ৯৩ কোয়াডড্রিলিয়ন গণনা পরিচালনা করতে পারে। সংখ্যাটিকে অংকে লিখতে হলে ৯৩ এর পর বসাতে হবে ১৫টি শূণ্য।
তবে এত কর্মক্ষম হয়েও শক্তি খরচের দিক থেকে দারুণ কিপটে সানওয়ে তাইহু লাইট। খুব কম শক্তি খরচ করে কাজ চালাতে পারবে এটি। একই সাথে র্যাম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাশ্রয়ী।
টপ ৫০০ ওয়েবসাইটে মোট ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকাতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দিয়েছে চীন। মোট সুপার কম্পিউটারের হিসাবে এখন শীর্ষে অবস্থান করছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় যেখানে ১৬৫টি সুপার কম্পিউটার রয়েছে সেখানে চীনের মালিকানায় রয়েছে ১৬৭টি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.