রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সবগুলো নোটিফিকেশন দেখার পর আবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক লগইন করেন অনেকে। সারা রাত জমে থাকা নোটিফিকেশনগুলো দেখে তবেই দিন শুরু করেন।
এই যে সামাজিক মাধ্যমের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা এটা কি আমাদের ক্ষতি করছে না উপকার? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিগ থিংক ডটকম।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ক্ল্যারিটি সম্প্রতি এক জরিপ পরিচালনা করেছে এ বিষয়ে। এক হাজার ৩০০ মানুষের ওপর চালানো এই জরিপে ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমের প্রতি মানুষের আসক্তির বিষয়টি উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে,১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা দৈনিক গড়ে ১৫ ঘণ্টা সময় অনলাইনে ব্যয় করেন। এর ফলে মানসিক নানা রকম পরিবর্তন ঘটছে তাদের মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা, সময়জ্ঞান না থাকা, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও অফলাইনে থাকলে একধরনের অস্থিরতায় ভোগা।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ ছাত্রী মেলিসা স্কট মনে করেন, তিনি ইন্টারনেটে আসক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি যতক্ষণ জেগে থাকি সব সময়ই অনলাইনে থাকি। অফলাইনে গেলে আমার মধ্যে হতাশা কাজ করে এবং নিজেকে অসুস্থ মনে হয়।’
একইভাবে ভিডিও গেমে যাঁরা আসক্ত, তাঁরাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন বাকিদের থেকে। বিশেষ করে কিশোর ও তরুণরাই ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
এই ধরনের আসক্তি নিয়ে ২০১৪ সালে চীনে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয় ‘ওয়েব জাংকি’ নামে। এই তথ্যচিত্রটির নির্মাতা শোশ শাম বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘কিশোররা গেম খেলার জন্য স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে। দিন-রাত তারা গেম খেলার জন্য ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোতে গিয়ে পড়ে থাকছে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.