অনেকটা শখের বসেই ২০১২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। শুরুতে তিন মাস কোনো কাজ পাননি। তবে থেমে থাকেননি তিনি। এখন আউটসোর্সিং থেকে তাঁর মাসিক আয় ১ লাখ টাকারও বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সৈকতের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ মেলায় মোয়াজ্জেম হোসেনের হাতে উপহার হিসেবে ল্যাপটপ তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে কক্সবাজার হবে একটি আধুনিক ডিজিটাল পর্যটন নগরী। এখানে স্থাপন করা হবে ডিজিটাল সার্ফিং সিটি, সমুদ্রসৈকতে আধুনিক লাইট সাউন্ড ওয়াটার শো-রুমসহ অনেক কিছু। আমাদের লক্ষ্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে কক্সবাজারে ২০০ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা। পরবর্তী সময়ে তাদের দেখে উৎসাহিত হয়ে বাকিরাও তৈরি হবে। মেলায় কক্সবাজারের আরও দুই ফ্রিল্যান্সারকে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়। এই দুজন হলেন আরিফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ। পুরস্কার পাওয়ার পর আরিফুল ইসলাম বলেন, একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য এটা একটা বড় স্বীকৃতি। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের আওতায় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য গতকাল দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং বিষয়ে কর্মশালার আয়োজনও ছিল। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
মেলায় নিবন্ধন ক্যাম্প চালু করা হয়। এখানে যাঁরা নিবন্ধন করবেন তাঁরা আগামী ৫০ দিন বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার প্রশিক্ষণ পাবেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করবে সরকারের আইসিটি বিভাগ।
বেলা সাড়ে ১১টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহ্মেদ।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালি ভৌমিক ও লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার নাথ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উদ্বোধন করা হয় স্মার্ট বাস। আগামী তিন দিন এটি কক্সবাজারে থাকবে। এই বাসে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হবে। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গাড়ি খোলা থাকবে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান করবে এটি। এই স্মার্ট বাসে ল্যাপটপ রয়েছে ১৭টি। এখানে শুধু ছাত্রীদের শেখানো হবে। প্রতিটি স্কুলের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.