ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে শুরুটা ধীরগতিতে করেছিলেন ক্রিস গেইল। ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে জ্যামাইকা তালাওয়াসের স্কোর ছিল ৭১/২। কিন্তু পরের তিন ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন গেইল। আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৮ বলেই সংগ্রহ করেছেন ৭১ রান। ৫৪ বলে ১০৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই মারমুখী ওপেনার। সাকিব-গেইলের দল জ্যামাইকাও ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে ১০ বল হাতে রেখে।
দলের জয়ে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অবদান অবশ্য সামান্যই। গেইলঝড়ের কারণে ব্যাট হাতে মাঠেই আসতে হয়নি সাকিবকে। বল হাতেও জ্বলে উঠতে পারেননি প্রত্যাশা অনুযায়ী। দুই ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে গেইলঝড় শুরু হলে অন্য সবাই যে নিষ্প্রভ হয়ে যান, তা আজ প্রমাণ হয়েছে আরো একবার। ৫৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটি খেলার পথে গেইল মেরেছেন ১১টি ছয় ও ৬টি চার। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এটি ছিল গেইলের তৃতীয় শতক আর সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৮তম।
গেইল তাণ্ডবের মধ্যেও অবশ্য অসাধারণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন সুনীল নারাইন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অফস্পিনার। গেইলের পর জ্যামাইকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন আন্দ্রে রাসেল। ২০ রান এসেছে কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন ত্রিনবাগোর প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কলিন মুনরো। ৫২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস এসেছে আমলার ব্যাট থেকে। মুনরো করেছেন ৩৯ বলে ৫৫ রান। তিনটি ছয় ও তিনটি চার মেরে ১৮ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়েছিলেন ম্যাককালাম।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.