বাবা সঞ্জীব জৈন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন। বাবার সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা থেকে এসেছিলেন মেয়ে তারিশি জৈন। তারিশি আজ তাঁর নিজ দেশ ভারতে ফিরেছেন। আর এটাই ১৯ বছর বয়সী তারিশির শেষ যাত্রা।
গত শুক্রবার ঢাকার গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন এই ভারতীয় তরুণী তারিশি জৈন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, আজ সোমবার গুরগাঁওয়ে নিজ এলাকায় পৌঁছেছে তারিশির মরদেহ। এর আগে ঢাকা থেকে জেট এয়ারওয়েজে করে দিল্লি পৌঁছায় তারিশির মরদেহ। এ সময় তারিশির বাবা ও মা সঙ্গে ছিলেন।
গুরগাঁওয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় শিব মূর্তি শ্মশানে তারিশির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বাবা সঞ্জীবের সঙ্গে ঢাকায় থেকে একটি আমেরিকান স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তারিশি। সঞ্জীব প্রায় ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ঢাকায় পড়াশোনা শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রে ইউসি (ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া) বার্কেলেতে ভর্তি হন তারিশি। ছুটির পরই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা তাঁর।
সুষমা স্বরাজের শোক
তারিশির মৃত্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইটবার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, খুবই মর্মাহত হয়ে জানাচ্ছি, ঢাকায় জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা ভারতের মেয়ে তারিশিকে হত্যা করেছে। আমি ওর বাবা সঞ্জীব জৈনের সঙ্গে কথা বলেছি আর গভীর শোক প্রকাশ করেছি। এই দুর্দশায় দেশ তাঁদের সঙ্গে আছে।’
মন্ত্রী টুইটারে আরো জানান, এটা বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড- সাধারণ মৃত্যু নয়। কিছু আইনগত বিষয় সম্পন্নের ব্যাপার আছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.