জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়া কিংবা দলটিকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে কার্যকর করতে বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক বলেন, ‘আমি তাঁকে (খালেদা জিয়া) জামায়াত ছাড়ার কথা বলেছি। এর বাইরে বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরেন, ‘আমি বলেছি, জামায়াতকে তাদের পিতৃপুরুষেরা যে অন্যায় করেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তার জন্য তাদেরকে আবার ক্ষমা চাইতে হবে।’
‘বর্তমানে যারা আছে জামায়াতে, আমার পরামর্শ হলো-তাদের দলীয়ভাবে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বিশ্বাস করে সেটা পুনরায় উল্লেখ করবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করবে।’
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক সদরুল আমিন, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনসহ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতারা।
গতকালের এই বৈঠকের আগে গত বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রথমে ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এবং পরে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.