ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে সাকিব আল হাসানের দল জ্যামাইকা তালাওয়াস। এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলে হারের মুখ দেখেছে মাত্র একটিতে। টানা তিনটি ম্যাচে জয় দিয়ে সিপিএলের পরবর্তী রাউন্ডও নিশ্চিত করে ফেলেছেন সাকিব-গেইলরা। আজ ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জ্যামাইকা পেয়েছে ১৯ রানের সহজ জয়।
জ্যামাইকার গত দুই ম্যাচেই দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছিলেন সাকিব। এক ম্যাচে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। তবে আজ ত্রিনিবাগের বিপক্ষে বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১০ রানের পর বল হাতে নিয়েছেন একটি উইকেট। জ্যামাইকা জয় পেয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সুবাদে। ২৫ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ত্রিনিবাগোকে ভুগিয়েছেন রাসেল। ৪ ওভার বল করে ২৩ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। রাসেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৯ রানেই থেমে গেছে ত্রিনিবাগোর ইনিংস।
১৯ রানের এই জয়ের ফলে জ্যামাইকা দখল করেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান। সাত ম্যাচ শেষে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে আছেন সাকিব-গেইলরা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে গুয়ানা অ্যামাজন ওরিয়র্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপের মুখেই পড়েছিল জ্যামাইকা। অধিনায়ক ক্রিস গেইল ফিরেছিলেন শূন্য রানে। কুমার সাঙ্গাকারা করতে পেরেছিলেন ২১ রান। রোভমান পাওয়েলের ৪৪ রানের সুবাদে ১৩ ওভার শেষে জ্যামাইকার স্কোর দাঁড়ায় : ৯২/৪। শেষ পর্যায়ে সাকিবের ১০ ও রাসেলের ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রান জমা করে জ্যামাইকা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ত্রিনিবাগো সংগ্রহ করেছিল ৬০ রান। হারিয়েছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (৬), কলিন মুনরো (১), উইলিয়াম পারকিন্স (১২) ও উমর আকমলের (১১) উইকেট। দশম ওভারে আকমলের উইকেটটি নিয়েছিলেন সাকিব। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে প্রায় একাই লড়েছিলেন ওপেনার হাশিম আমলা। কিন্তু ১৫তম ওভারে ৪২ রান করে আমলা আউট হয়ে যাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় ত্রিনিবাগোর হার। শেষ পর্যায়ে দিনেশ রামদিনের ৩১ ও ডোয়াইন ব্রাভোর ১৩ রানের ইনিংস দুটি হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.