গত জুমায় দেশের বিভিন্ন মসজিদে অভিন্ন খুতবার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন। এতে বলা হয়েছে, এই খুতবা কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি কিংবা কারো জন্য নির্দিষ্ট করা হয়নি। এটি শুধু নমুনা হিসেবে দেশের বিভিন্ন মসজিদে পাঠানো হয়।
গত জুমার খুতবা বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গঠিত খুতবা প্রণয়ন কমিটির এই ব্যাখ্যা দিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ নিজামউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আজ বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, ‘দেশের অন্যান্য মসজিদের খতিব ও ইমামগণ যাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জন্য প্রণীত খুতবা থেকে ধারণা নিয়ে খুতবা উপস্থাপন করতে পারেন, এ উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে দেশের বিভিন্ন মসজিদে শুধু নমুনা হিসেবে খুতবা প্রেরণ করা হয়। উক্ত খুতবা কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি কিংবা কারো জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দীর্ঘকাল যাবত জুমার খুতবা প্রণয়ন ও উপস্থাপন করা হয়ে থাকে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মসজিদের খতিব মরহুম মুফতি সৈয়দ আমীনুল ইহসান (রহ.) এবং মরহুম মাওলানা উবায়দুল হক (রহ.) নিজেরা খুতবা প্রণয়ন করে উপস্থাপন করতেন। বর্তমানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইমাম সাহেবসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা ও খতিবদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জুমার খুতবা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে এবং তা নিয়মিতভাবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে উপস্থাপিত হয়ে আসছে।
‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত কর্মকর্তা-কর্মচারী খুতবা প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এ কমিটিতে শুধু দেওবন্দ, হাটহাজারী ও পটিয়া মাদ্রাসাসহ মিসরের আল আযহার ও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ আলেম-ওলামা সম্পৃক্ত রয়েছেন।’
এ খুতবা পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশের প্রচলিত প্রায় সব খুতবার কিতাবকে সামনে রেখে প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। এখানে কারো ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরা হয়নি এবং এর কোনো অবকাশও নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো হয়, ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। ইসলামের নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে ইসলাম বিধ্বংসী কাজের সঙ্গে জড়িত না হয়, পবিত্র কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তা জনগণের সামনে তুলে ধরা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক খতিব, ইমাম ও আলেম-ওলামার দায়িত্ব। তাঁরাই নায়েবে রাসুল (সা.) হিসেবে মানুষকে হেদায়াতের পথে আহ্বান করবেন- এটাই ইসলামের দাবি।
খুতবা প্রণয়ন কমিটি থেকে প্রণীত কোনো খুতবায় যদি ভুল-ভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে তা লিখিতভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মনে করে, ‘খুতবার ভুল-ভ্রান্তির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিভ্রান্ত হতে পারেন।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.