ঋতুস্রাব দেরিতে হলে অনেকেই এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন। আসলে চক্রের ২১ দিন আগে ঋতুস্রাব হলে অথবা ৩৫ দিনের পরে হলে বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো ঋতুস্রাব দেরিতে ঘটায়। দেখুন তো এগুলো আপনার সঙ্গে মিলে যায় কি না? জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট কেয়ার ইনফো ডট ইন জানিয়েছে ঋতুস্রাব দেরিতে হওয়ার কারণগুলোর কথা।
১. প্রতিদিনের রুটিন পরিবর্তিত হচ্ছে
আপনার রোজকার রুটিনে পরিবর্তন এলে শরীরের হরমোনগুলো একটু দ্বিধার মধ্যে পড়ে যায়। এ জন্য ঋতুস্রাব দেরিতে হতে পারে।
২. অতিরিক্ত মানসিক চাপ
মানসিক চাপের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন : সম্পর্কে বিচ্ছেদ, অফিসে বসের ঝাড়ির চাপ ইত্যাদি। তবে জানেন কি, কখনো কখনো অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু ঋতুসাব্র দেরিতে হয়? মানসিক চাপ কমালে এ সমস্যার সমাধান হয়।
৩. অসুস্থতা
খুব গুরুতর কোনো অসুস্থতা ঋতুস্রাব দেরিতে ঘটানোর একটি অন্যতম কারণ। হয়তো শরীর এ সময় অনেক ব্যস্ত ভাইরাস বা কোনো ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে। আর এতেই প্রভাবিত হচ্ছে ঋতুস্রাবের চক্রটি।
৪. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুস্রাব দেরিতে হয়। যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঋতুস্রাব দেরিতে হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. ভ্রমণ
আপনি কি জানেন, ভ্রমণ অনেক সময় ঋতুচক্রকে ব্যাহত করে। দীর্ঘ ফ্লাইট, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার সময়ের ব্যবধান অনেক সময় ঋতুস্রাব দেরিতে ঘটায়।
৬. বেশি ওজন
বেশি ওজনের কারণে ঋতুস্রাব দেরিতে হতে পারে। তাই এ রকম সমস্যা হলে ওজন কমানো জরুরি।
৭. ওষুধ
কিছু ওষুধ ঋতুস্রাবে প্রভাব ফেলে, যেমন : বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার ইত্যাদির ওষুধ ঋতুস্রাব দেরিতে ঘটানোর কারণ হতে পারে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.