গাজীপুর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ সদস্যের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ২০ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। আজ একই বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।
২০ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার গোলাম নবী, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি অ্যাডভোকেট দেলাওয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘গাজীপুর আইনজীবী সমিতিতে হামলার ঘটনায় নিম্ন আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর আজ শুনানি শেষ হয়েছে। ২৮ জুলাই (আজ) রায় ঘোষণা করা হবে। ১০ জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।’
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১০ জন হলেন—এনায়েত উল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান ওরফে আকাশ ওরফে হাসিব, মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো, সাইদুর মুন্সী ওরফে শহীদুল মুন্সী ওরফে ইমন ওরফে পলাশ, আবদুল্লাহ আল সোহাইন ওরফে যায়িদ ওরফে আকাশ, নিজাম উদ্দিন রেজা ওরফে রনি ওরফে কচি, তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসান, মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরসাদ ওরফে আব্বাস খান, মো. সফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম ও আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজিমসহ আটজন নিহত হন। হামলাকারী আসাদ ওরফে জিয়া নিজেও নিহত হন।
এ ঘটনায় প্রথম পর্যায়ে জেএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানীকে আসামি করে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই সঙ্গে শায়খ আবদুর রহমান ও আতাউর রহমান সানীর অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ২০ জুন শুনানি শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জেল আপিল দায়ের করেন আসামিরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.