‘বিএনপির মধ্যে কোনো সংকট নেই, এই অনির্বাচিত সরকার নিজেরাই দেশের জন্য বড় সংকট সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে।’
আজ শনিবার খুলনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এ কথা বলেন। খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন আবদুল আউয়াল মিন্টু।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরো বলেন, ‘এই সরকার জঙ্গি ধরার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। সরকার নিজেরাই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করছে এবং এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেবেন।’ তখন সবাইকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বানন জানান তিনি।
খুলনা জেলা বিএনপির এই ইফতার অনুষ্ঠানে খুলনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী শহিদুল্লাহ, খুলনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী আবদুল বারী, মুসলিম লীগ নেতা বেগম আখতার জাহান রুকু, জামায়াতে ইসলামীর নেতা শাহ আলম, খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লাসহ নগরীর গণ্যমান্য বক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার পক্ষ থেকে ইফতার আয়োজনের যে নিমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়, তা অনুযায়ী অনুষ্ঠানটিতে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্ব করার কথা। কিন্তু অনুষ্ঠানের ব্যানারে অধ্যাপক মাজিদুল ইসলামের কোনো নাম ছিল না। সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা নিজে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে ঘোষণা দেন অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম অসুস্থ।
২০১৩ সালের লাগাতার আন্দোলনের সময় থেকে অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম মামলার ভয়ে খুলনা আসেন না। জেলা বিএনপির সভাপতির মতো দায়িত্বশীল পদে থেকেও দীর্ঘ তিন-চার বছর ধরে খুলনায় না আসায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.