প্রকৃতির সৌন্দর্যে শোভিত অপরুপ এক লীলাভূমি সিলেট। সূদুর প্রাচীন কাল থেকে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটকদের মন কেড়ছে সিলেটের বেশ কিছু পর্যটন এলাকা। জাফলং, লালাখাল, মাধবকুন্ড, শ্রীমঙ্গল, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক, মালনিছড়ার নাম শোনেন নাই এমন মানুষ অন্ততপক্ষে বাংলাদেশীদের মধ্যে খুজে পাওয়া খুবই দুরুহ ব্যাপার হবে।
সম্প্রতিকালে সিলেটে আরও কিছু পর্যটন স্থান আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট চ্যানেল এবং পত্র-পত্রিকার মাধম্যে অনেকেরই এগুলো সম্পর্কে জানা হয়ে গেছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট সত্যিই বিষ্ময়কর! এছাড়া পাংথুমাই এবং বিছনাকান্দি পর্যটনের জন্য অনেক মনোমুগ্ধকর স্পট।
ভোলাগঞ্জ :
ভোলাগঞ্জ সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য নতুন করে বলার কিছু নাই, এটা সকলেরই জানা হয়ে গেছে। শহরের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি গাড়ি টুকেরবাজার পর্যন্ত যায়। রিজার্ভ না নিলে সিএনজিতে করে প্রতিজনের জন্য টুকেরবাজার পর্যন্ত ভাড়া নিবে ১০০ টাকা। রাস্তা খুব বেশি না কিন্তু! রোডের আশেপাশে গ্যাসের পাম্প না থাকার দরুন ভাড়া একটু বেশি। ভোলাগঞ্জ স্পট পর্যন্ত আম্বরখানা থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিলে ভাড়া ৭০০-৭৫০ টাকা মধ্যে হয়ে যাবে। পৌছে গেলেন স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জ। বাহ, কি সুন্দর দৃশ্য ! সাথে করে ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে গেছেন তো? বসে পড়ুন আপনার পড়ার টেবিলের সমান একটি পাথরের উপর আর ক্যাপচার করে নিন যত পারেন তত ছবি ! ইন্ডিয়া পাশেই। চেষ্টা করুন আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্ডিয়ার হিমালয় পর্বত ক্যাপচার করতে !
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট :
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের অবস্থান সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়। সিলেট শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে। শহরের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে উত্তর দিকে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে রাতারগুলের অবস্থান। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা নিবে। আপনি পৌছে গেলেন রাতারগুল! শুরু করে দেন নৌকা ভ্রমন ! নৌকায় প্রতি ঘন্টায় ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা নিবে।
বিছনাকান্দি :
নদীর একপাশে ইন্ডিয়া আর অন্য পাশে বাংলাদেশের বিছনাকান্দি। নদী দিয়ে নিত্য প্রবাহিত হচ্ছে অনন্য সুন্দর পানি আর পাশেই আছে বালি এবং বিশাল বিশাল পাথরের স্তুপ-একটু চিন্তা করুনতো এমন পরিবেশে আপনার অনুভুতি কেমন হবে? হ্যা, বিছনাকান্দি। সিলেট শহরের আম্বরখানা থেকে সিএনজি অটোরিকাশা রিজার্ভ করে নিলে ৫৫০-৬০০ টাকা লাগবে। আপনি পাবলিক গাড়ি দিয়ে যেতে চাইলে আম্বরখানা পয়েন্টের উত্তর দিকে সিএনজি স্টেশন আছে, সেখান থেকে হাদারপারের সিএনজিতে উঠে যান। পাবলিক বা রিজার্ভ যে গাড়িতেই করে যান, আপনি হাদারপার গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ পায়ে হেঠে বিছনাকন্দি যেতে হবে।
পাংথুমাই :
পাংথুমাই, বিছনাকান্দি, রাতারগুল- তিনটি স্পটই সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায়। রাস্তা ও মোটামোটি একই দিকে। আম্বরখানা থেকে আপনি গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর পর্যন্ত সিএনজি বা পাবলিক গাড়ি হয়ে যেতে পারেন। রিজার্ভ সিএনজি হলে ৬০০-৬৫০ টাকা আর পাবলিক সিএনজি গাড়িতে প্রতিজনের জন্য ৮০-৯০ টাকা নিবে। পৌছে গেলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর। এখান থেকে পাংথুমাই স্পটে সিএনজি ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা নিবে।
দোয়া করি সবাই পরিবার নিয়ে সুন্দর কিছু সময় কাটাতে চলে আসুন সিলেট।আর দেখে আসুন আপনার আমার সবার পছন্দের সিলেট।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.