শাহরুখ খান নিজেই একবার রসিকতা করেছিলেন, ‘যখন আমার ভাব বেশি বেড়ে যায়, তখন আমি মার্কিন বিমানবন্দরে যাই। ওরা ঝেঁটিয়ে আমার স্টারডম বিদায় করে দেয়!’ রসিকতা হলেও বলিউড কিংয়ের জন্য বিষয়টি একটু বেশিই বাস্তব। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো মার্কিন বিমানবন্দরে ‘আটক’ হলেন শাহরুখ খান, নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে। নিউইয়র্ক টাইমসে জানা গেল, গত বৃহস্পতিবার এই ‘হয়রানি’র শিকার হয়েছেন শাহরুখ।
শাহরুখ খান এ বিষয়ে অবশ্য তেমন উচ্চবাচ্য করেননি, তবে এয়ারপোর্টের নাম উল্লেখ না করলেও নিজের হতাশাটা চেপে রাখতে পারেননি। ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমি সব সময়েই শ্রদ্ধা করি, তবে মার্কিনি বিমানবন্দরে এভাবে বারবার আটকে যাওয়াটা আসলেই হতাশার। একটা দিক ভালো ছিল, যখন অপেক্ষা করেছি তখন বেশ কয়েকটা ভালো পোকেমন ধরতে পেরেছি।’ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতেই হয়, হালের ক্রেজ ‘পোকেমন গো’ গেমটির পাঁড়ভক্ত শাহরুখ খান।
তবে শাহরুখের নাম উল্লেখ না করলেও ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিচ ভার্মার টুইটে জানা গেল, লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরেই এ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন শাহরুখ। এ জন্য রিচ ভার্মা শাহরুখের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহরুখ খানের কাছে, ‘বিমানবন্দরে ঝামেলার জন্য দুঃখিত। তবে সত্যি বলতে, মার্কিন কূটনীতিকদেরও এ ঝামেলায় পড়তে হয়।’ উত্তরে শাহরুখ জানান, ‘ঠিক আছে, এটা কোনো সমস্যা নয়। শুধু একটু ভুগতে হয়েছে আর কী।’ পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে টুইট করেছেন, ‘এ ঘটনার কথা শুনে আমি স্তম্ভিত। নিরপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে শাহরুখের মতো একজন ব্যক্তির এই ভোগান্তি পোহানোর ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং বিব্রতকর।’
এর আগে ২০০৯ ও ২০১২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন শাহরুখ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.