গুলশান হামলার মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। এছাড়া কানাডা প্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানকে গুলশান হামলার ঘটনায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আরও সাতদিনের রিমান্ড নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসনাত করিমকে গুলশান হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কানাডা প্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানকেও গুলশানের ঘটনায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আরও সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এর আগে গত ৪ আগস্ট হাসনাত করিম ও তাহমিদ হাসিব খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
গত ৩ আগস্ট রাতে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরের দিন আদালতে তোলে তাদের আটদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
হাসনাতকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য এবং তাহমিদকে তার সহযোগী উল্লেখ করে তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছিল পুলিশ।
তাহমিদ হাসিব খান আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান শাহরিয়ারের ছেলে। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং কানাডার স্থায়ী নাগরিক। ১ জুলাই গুলশান হামলার দিনই দুপুরে ঢাকায় আসেন তাহমিদ।
হাসনাত করিমের বাবা মোহাম্মদ রেজাউল করিম। হাসনাত বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক। ব্রিটেনের নাগরিক হলেও সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসে বাবার আর্কিটেক্ট ফার্মে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ঘটনার দিনে মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে তিনি হলি আর্টিজানে পরিবার নিয়ে খেতে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও ২০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশী ও ৩ জন বাংলাদেশী। পরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়।
অভিযানের পর ওই রেস্টুরেন্ট থেকে ৩২ জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে হাসনাত করিম ও তাহমিদের রহস্যজনক আচরণের কারণে তাদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তবে ঘটনার কয়েকদিন পর হাসনাত ও তাহমিদকে ছেড়ে দেয়ার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের অবস্থান বিষয়ে তারা কিছু জানে না। পরে গত ৪ আগস্ট পুলিশ তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.