নারীরা মৌলবাদে দীক্ষিত হয়ে সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে, যদি তাদের রক্ষণশীল পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়। আর স্বল্পবসনা নারীরা জঙ্গি হয় না। কিরগিজিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভ সমপ্রতি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক পরিচয় নিয়ে দেশটিতে জাতীয় বিতর্ক হচ্ছে। এ বিতর্কে ঢুকে গেলেন প্রেসিডেন্টও। গত সপ্তাহে ৮০ শতাংশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রেসিডেন্ট এক প্রেস কনফারেন্সে আরো বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। স্বল্পবসনা মেয়েদের সমালোচনা করেন যারা, তাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। ইসলামি পোশাক পরতে নারীদের নিরুৎসাহিত করতে সম্প্রতি রাজধানী বিশককেকের রাজপথে সরকারি বিজ্ঞাপন টানানো হয়েছে। বিশেষ করে, হিজাব ও বোরকা পরতে নারীদের নিষেধ করা হচ্ছে। মধ্য-জুলাইয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সফরকে সামনে রেখে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের মতো এ উদ্যোগও অনেককে আহত করেছে। সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যানারে দুই ধরনের নারী দেখানো হয়েছে। একপাশের নারীদের পরনে কিরগিজিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। অপরপাশের নারীদের পরনে পুরো শরীর আবৃত করে রাখা নিকাব বা বোরকা। ছবির ক্যাপশনে লেখা- ‘আহারে! আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ এ বিজ্ঞাপনের ব্যাপক সমালোচনা চলছে দেশটিতে। সামাজিক যোগাযোগেও চলছে তীব্র আলোচনা। এ সমালোচনার জবাবে প্রেসিডেন্ট আতামবায়েভ বলেন, ‘আমরা যখন বিজ্ঞাপনগুলো টাঙালাম, কিছু চতুর লোক এসে মিনিস্কার্টের কথা তুললো। আমাদের নারীরা পঞ্চাশের দশক থেকে মিনিস্কার্ট পরছে। তারা কখনই আত্মঘাতী বোমার বেল্ট পরার কথা চিন্তা করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা চাইলে আপনাদের মাথায় তারপুলিনের জুতাও পরতে পারেন। কিন্তু বোমাবাজি করবেন না। এটা ধর্ম নয়। তাদের প্রয়োজনে মিনিস্কার্ট পরতে দিন। কিন্তু কোনো বিস্ফোরণ হওয়া চলবে না!’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.