অবশেষে ইরানি বিক্ষোভকারীরই জয় হলো। দুইদিন কান্নার পর সফল হন এ সমাজকর্মী। শনিবার দারিয়া সাফাই নামের ওই আন্দোলনকারীকে তার হাতে থাকা ব্যানার রেখে মাঠে আসার কথা বলায় তিনি রাগে ক্ষোভে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে সোমবার তিনি ঠিকই মাঠে ঢুকলেন এবং সামনের সারিতে বসে তার ব্যানার তুলে ধরলেন। কারও কোনো প্রতিবাদ নেই। তিনি বসে থাকলেন অনেকক্ষণ। তার ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ইরানি মহিলাদের তাদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়া হোক।’ ১৯৭৯ সালের পর থেকে ইরানে পুরুষদের খেলার সময় স্টেডিয়ামে মেয়েদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। ছাত্রাবস্থায় এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাফাই কারাবরণও করেছেন। বিশ্বকে বিষয়টা জানানোর জন্য তিনি কিছু করতে চান বলেই তার এ আন্দোলন। দারিয়া সাফাই বেলজিয়ামে বসবাস করেন। পেশায় তিনি একজন দন্ত চিকিৎসক। তার ধারণা অলিম্পিক হচ্ছে উত্তম স্থান যেখানে প্রতিবাদ করলে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। ইরানের সকল মহিলার পক্ষে তিনি এ আন্দোলন করছেন বলে দাবি করেন। তারা এ অবস্থার পরিবর্তন চান যাতে তারা তাদের প্রিয় খেলা মাঠে বসে উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো, অলিম্পিক কমিটির নিয়ম অনুযায়ী আসর চলাকালে কেউ মাঠে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে বা দেখাতে পারবে না। অবশ্য এবার রাশিয়ার ডোপ টেস্টে ব্যর্থ অ্যাথলেটদের প্রতি দুয়োধনি চলছে অবাধে, যা ক্রীড়ার চেতনার পরিপন্থি। দারিয়া সাফাই বলেন, এ কাজে যন্ত্রণা অনেক। আবার আনন্দও কিন্তু কম নয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এর অনেক ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। এই যেমন এবার পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংলিশ অনেক দর্শকই আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। বলেছে, হ্যাঁ, তুমি ঠিকই করছো, চালিয়ে যাও। এতে আমার আত্মা অনেক শান্তি পায়।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.