স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন এলাকায় যখন ঘুড়ি ওড়ানো হচ্ছিল। তারই ধারালো সুতা গলায় পেঁচিয়ে এই তিনজনের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে তিন বছর ও চার বছরের দুটি শিশু এবং ২২ বছরের বয়সী এক তরুণ রয়েছে।
দেশটিতে স্বাধীনতা দিবসসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে ঘুড়ি ওড়ানো বেশ জনপ্রিয় একটি খেলা।
কিন্তু কাচের গুঁড়ো দিয়ে ঘুড়ির দড়ি বা সুতা ধারালো করা হয়ে থাকে। একে স্থানীয়ভাবে ‘মাঞ্জা’ বলা হয়। এতে প্রায়ই অনেকের আহত হওয়া এবং প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটে।
রাজধানী দিল্লিতে আলাদা আলাদা ঘটনায় শিশু সাঁচি গোয়াল এবং হ্যারি গাড়ির ছাদের ওপর থেকে ঘুড়ি ওড়ানো দেখার সময় তাদের গলায় ঘুড়ির সুতা পেঁচিয়ে কেটে গেলে মারা যায়।
আর তরুণ জাফর খান মারা যান মোটরবাইক চালানো অবস্থায় ঘুড়ির রশিতে গলা কেটে।
মূলত অন্যের ঘুড়ি কেটে নিচে নামানোর জন্য রশিতে কাচের গুঁড়ো ও আঠা দিয়ে ধারালো করা হয়।
কিন্তু প্রতিবছরই ঘুড়ির রশি দিয়ে আহত হওয়া এবং প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটে। গতবছরই পাঁচ বছর বয়সী শিশু মারা গিয়েছিল মোরাদাবাদে।
ঘুড়ির সুতায় প্রচুর পাখিও প্রাণ হারায়। গত তিন দিনেই পাঁচশ’ পাখিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্যও আহত হন সোমবার।
কর্তৃপক্ষ বলছে, নাইলন, প্লাস্টিক কিংবা কাচের গুঁড়ো দিয়ে মাঞ্জা দেয়া সূতা তৈরি ও বিক্রি রাজধানীতে নিষিদ্ধ করা হবে। কেউ এ আইন না মানলে শাস্তি পেতে হবে তাদের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.