প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই। গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে?
বালিকা ভুলানো জোছনা নয়, যে জোছনায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটোছুটি করতে করতে বলবে, ও মাগো! কি সুন্দর চাঁদ!
নব দম্পতির জোছনাও নয়, যে জোছনা দেখে স্বামী গাড় স্বরে স্ত্রীকে বলবে; দেখো দেখো, চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর।
কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাঁতে জোছনা নয়, যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ণ ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জোছনা নয়, যে জোছনা দেখে কবি বলবেন, কি আশ্চর্য রুপোর থালার মত চাঁদ।
আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্য বসে আছি।
যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে। ঘরের ভেতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব, আর হাঁটব। পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে, চারিদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে … আয়, আয়, আয় ।।
—-হুমায়ূন আহমেদ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.