নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন ব্যান্ড তারকা বিপ্লব। ব্যান্ড প্রমিথিউসের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে স্টেজ ও অ্যালবামে সফলতা পেয়েছেন তিনি। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে অডিও ইন্ডাস্ট্রি ব্যবসায়িক সফলতায় যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল, তাতে প্রমিথিউসের একটি ভালো ভূমিকা ছিল। ব্যান্ড ছাড়া একক ক্যারিয়ারেও সফল বিপ্লব। অনেক জনপ্রিয় গান তিনি একক অ্যালবামের মাধ্যমে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। বিপ্লব এখনও গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজের ব্যান্ড প্রমিথিউস নিয়ে স্টেজ ব্যস্ততাতেই কাটছে তার সময়। এ প্রসঙ্গে বিপ্লব বলেন, শো-র ব্যস্ততা সব সময়ই থাকে। ঈদের পর থেকে আমরা শো নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি। সরাসরি শ্রোতাদের গান শোনাতে সব সময়ই ভালো লাগে। এদিকে দীর্ঘ ৮ বছর পর গেল রোজার ঈদে একক অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছিলেন বিপ্লব। স্টেজ শো ব্যস্ততা এবং অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে এত দীর্ঘ সময় একক অ্যালবাম থেকে দূরে ছিলেন তিনি। রোজার ঈদে প্রকাশিত তার অ্যালবামটির নাম ‘আমার কোনো টেনশন নেই’। এতে স্থান পেয়েছে মোট ৮টি গান। সব গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বিপ্লব নিজে। সাউন্ডটেকের ব্যানারে প্রকাশ পাওয়া এ অ্যালবাম থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লব। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত ঐতিহ্যবাহী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেকের উদ্যোগেই এ অ্যালবামাটি করা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সুলতান মাহমুদ বাবুল ভাই খুব কাছের মানুষ আমার। অনেক দিনের সম্পর্ক আমাদের। তারা নতুন করে আবার অ্যালবাম প্রকাশ শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ অ্যালবামটি করা। এ অ্যালবামে আমি নিজে দুটি গান লিখেছি। বাকি গানগুলো লিখেছেন বশীর আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেন জেমী, রাজু প্রমুখ। প্রেমের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক গানও রয়েছে এখানে। এ একক অ্যালবামের বাইরে বিপ্লব নিজের ব্যান্ড প্রমিথিউসের কিছু গান তৈরি করেছেন ইতিমধ্যে। এখনও প্রতিদিন স্টুডিওতে নতুন গান তৈরির কাজ চলছে তার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রমিথিউসের নতুন গানের কাজ সব সময়ই করছি। নির্দিষ্ট সময় পর পর গান প্রকাশ করবো আমাদের ওয়েবসাইটে। আসছে কোরবানির ঈদেও হয়তো প্রমিথিউসের পক্ষ থেকে শ্রোতাদের জন্য চমক থাকবে। এদিকে আসছে ঈদের জন্য আনজাম মাসুদের ‘পরিবর্তন’ ম্যাগাজিনে একটি গান করেছেন বিপ্লব। সম্প্রতি এর শুটিং শেষ হয়েছে। একজন সিনিয়র সংগীতশিল্পী হিসেবে এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে আপনার কাছে? বিপ্লব বলেন, অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। সামনে আরও উন্নতি হবে। আসলে বাংলাদেশের মানুষ গানপাগল। গান শোনা কমেনি। আগের চাইতে মানুষ আরও বেশি গান শোনে। তবে সেটা ডিজিটালি। তাছাড়া শিল্পীদের বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তবে অডিও কোম্পানিগুলো ৬০ বছরের জন্য গানের স্বত্ব নিয়ে নিচ্ছে এককালীন অর্থ প্রদানের মাধ্যমে। এই নিয়ম সমর্থনযোগ্য নয়। আমি মনে করি এককালীন অর্থের পাশাপাশি অডিও কোম্পানিগুলোর শিল্পীদের রয়্যালিটিও দেয়া উচিত। আসলে পলিসি মেকিংটা ভালোভাবে করতে হবে। পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ করতে হবে। এই সময়ে গান কেমন হচ্ছে? প্রতিভা কেমন দেখছেন তরুণদের মধ্যে? বিপ্লব বলেন, তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। সময় দিতে হবে। অনেক তরুণ মেধাবী মিউজিশিয়ান আমাদের রয়েছেন। মিউজিকের দিক দিয়ে আমরা কোনো অংশে কম নই। শুধু একাগ্রতা ও চেষ্টাটা থাকতে হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.