মাত্র ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার সিমোনা বাইলস নিজেকে এতটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন তা ছিল ভাবনার বাইরে। যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোনা বাইলস তার চতুর্থ স্বর্ণপদক জয় করে তার নতুন ইতিহাস সমৃদ্ধ করে চলেছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এ কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলেট মঙ্গলবার মেয়েদের ফ্লোর ইভেন্টে সোনা জয় করেন। তার পয়েন্ট ১৫৯৬৬। এ ইভেন্টে ১৫৫০০ পয়েন্ট স্কোর করে রুপা জয় করেন তারই সতীর্থ আলেকজান্ডারা রেইজম্যান। আর ব্রোঞ্জ পদক জেতেন বৃটেনের অ্যামি টিঙ্কলার। তার পয়েন্ট ছিল ১৪৯৩৩। ১৬ বছর বয়সী টিঙ্কলারের আগে মাত্র একজনই বৃটেনের হয়ে এ ইভেন্টে পদক জিতেছেন। আর এ আসরে বৃটেন দলে তিনিই কনিষ্ঠতম সদস্য। এক অলিম্পিক আসরে চার সোনা জয় করা মাত্র পঞ্চম অ্যাথলেট হলেন সিমোনা বাইলস, যিনি বয়স না হওয়ায় লন্ডন অলিম্পিক্সে অংশ নিতে পারেননি। জিমন্যাস্টিক্সের অলরাউন্ড ইভেন্টে সিমোনাই হলেন প্রথম স্বর্ণপদকজয়ী কৃষ্ণাঙ্গ জিমন্যাস্ট। ২০১৩তে সিনিয়রদের সঙ্গে খেলা শুরুর পর থেকে কখনও অলরাউন্ড ইভেন্টে হারেননি টেক্সাসের এ অ্যাথলেট। অলিম্পিক ইতিহাসে তার আগে মাত্র চারজন নারী এক আসরে চারটি স্বর্ণপদক জেতার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ১৯৫৬ অলিম্পিক্সে হাঙ্গেরির আগনেস কেরেতি ও সোভিয়েত ইউনিযনের লারিসা লাতিনিনা, ১৯৬৮ অলিম্পিকে চেকোস্লাভাকিয়ার ভেরা কাসলাভস্কা ও ১৯৮৪ আসরে রোমানিয়ার একতারিনা জাবো চারটি করে সোনা জেতেন। ইউরোপের বাইরে বাইলসই প্রথম। এমন সাফল্যে আত্মহারা হওয়াই স্বাভাবিক। বাইরস বলেন, আমি দারুণ খুশি। আমি যা করেছি তাতে কী করবো ভেবে পাচ্ছি না। এটা আমার চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। আমার মনে হয় না আমি এরচেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারতাম। আপনার প্রথম অলিম্পিকে পাঁচটি পদক জেতা চাট্টিখানি কথা নয়। আর এটাই শেষ নয়, চারটিতো স্বর্ণপদক!’ সিমোনা বাইলস এর আগে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছেন ১০টি সোনা। ইতিহাসে আর কোনো নারীর এতগুলো স্বর্ণপদক নেই বিশ্ব আসরে। এতে তার মোট পদক ১৪। ২০১৩ আসরে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাথলেট হিসেবে অলাউন্ড শিরোপা জেতেন। ২০১৪-তে এ শিরোপা অক্ষুণ্নও রাখেন। ২০১৫তে গ্লাসগো আসরেও তিনি স্বর্ণ জেতেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.