সনির সাম্প্রতিক ফোন এক্সপেরিয়া এক্স-কে সত্যিকার অর্থে স্টাইলিশ বলতে রাজি নন অনেকে। কিন্তু এক্সপেরিয়া এক্সএ নিয়ে তেমনটা বলা যায় না। ফোনের কাঠামোজুড়ে রয়েছে ৫ ইঞ্চি পর্দা। পুরোটাকেই স্ক্রিন বলে মনে হয়। পর্দাটিকে ঘিরে রেখেছে চকচকে সিলভার ফ্রেম। প্রিমিয়াম লুকের ফোনটির দামটাও একেবারে মনের মতো।
সি নেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্সপেরিয়া এক্সএ আমেরিকার বাজারে ছাড়া হবে ২৮০ ডলারে। এই দামের কোনো ফোনে মনেরমতো ডিজাইনকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। কিন্তু সনি দিয়েছে।
এই ফোনের মূল সৌন্দর্য পর্দার ডিজাইনে। পর্দাকে ছাপিয়ে দুই পাশ বাড়তি অংশ নেই। পুরোটাই যেন পর্দা। অনেকটা গ্যালাক্সি এস৭ এজ-এর মতো দেখা যায়। যদিও এক্সএ-এর স্ক্রিন কার্ভড নয়।
দামের তুলনায় অন্যান্য স্পেসিফিকেশনের মিল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, দারুণ কিছু আশা করলে হবে না।
রেজ্যুলেশন ৭২০পিক্সেল। পিক্সেল ডেনসিটি প্রতি ইঞ্চিতে ২৯৩ পিক্সেল। অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শমেলো অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। সামনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পেছনেরটি ৮ মেগাপিক্সেল। ৬৪-বিটের মিডিয়াটেক হেলিও পি১০ প্রসেসরে গতি দেবে ২ জিবি। অভ্যন্তরে স্টোরেজ মিলবে ১৬ জিবি। মাইক্রোএসডি’র মাধ্যমে ২০০ জিবি স্টোরেজ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। ব্যাটারি বেশ শক্তিশালী, ২৭০০এমএএইচ।
মার্শমেলোতে বাড়তি বিশেষ স্ক্রিন ব্যবহার করেছে সনি। ফোনটি চালু করলে মিলবে প্লেস্টেশন অ্যাপ। আরো থাকছে এক্সপেরিয়া লাউঞ্জ। গেমিংয়ে দারুণ ফোনটি। ‘আলফাশট ৮’ এবং ‘গ্র্যান্ড থেফট অটো: সান আন্দিয়াস’ মসৃণ চলে।
ফুল চার্জ দেওয়ার পর একটানা ব্যবহারে ৮ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বেঁচে ছিল মোবাইলটি। আরো শক্তি পেতে পর্দার ব্রাইটনেস কমিয়ে নিতে হবে।
ক্যামেরায় ছবি ওঠে বেশ ভালো। কম আলোতে বেশ পরিষ্কার ছবি ওঠে।
সবমিলিয়ে দারুণ পারফরমেন্স এর। তবে অনেকের কাছে এর ব্যাটারি নিয়ে অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু দাম ও চেহারা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.