২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দেয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন হিলারি ক্লিনটন। এনবিসি’র কমান্ডার ইন চিফ ফোরাম নামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ম্যাট লরে’র এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাদের কথোপকথন হুবহু উদ্ধৃত করা হলো। তিনি বলেন, ‘দেখুন আমার মতে ইরাক যুদ্ধে যাওয়াটা ছিল একটি ভুল কাজ। আমি এ-ও বলেছি যে, প্রেসিডেন্ট বুশকে এ যুদ্ধে যাওয়ার কর্তৃত্ব দিতে ভোট দেয়াটা আমার জায়গা থেকে আমার ভুল ছিল। আমি মনে করি, এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা ভুল থেকে শিখবো। তাই আমাদের অবশ্যই জানতে হবে, কেন আমরা ভুল পথে গিয়েছিলাম। নিশ্চিত করতে হবে, এমনটা যাতে আর কখনও না হয়। আমি মনে করি, আমি এ বিষয়টি বোঝার জন্য ও এমনটি যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবে ওই অনুষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে উপস্থাপক ম্যাট লরে’র ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি অনেকে। ক্লিনটনের ইমেইল ইস্যু নিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা, রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রামেপর বেলায় নরম প্রশ্ন করা এবং ট্রামপ যখন ইরাক যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিলেন বলে মিথ্যা দাবি করেন, তখন তাকে চ্যালেঞ্জ না করা- ইত্যাদি ইস্যুতে উপস্থাপকের সমালোচনা করেন অনেকে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট নিকোলাস ক্রিস্টফ বলেন, ‘এবারের এনবিসি নিউজ ফোরাম সাংবাদিকতার জন্য লজ্জাজনক’। স্লেট পোর্টালের উইল সেলট্যান বলেন, লর অসাধারণ অনেক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কিন্তু এবারেরটি ছিল সবচেয়ে দুর্বল। এবারে প্রেসিডেন্সিয়াল ফোরামে উপস্থাপকদের মধ্যে সবচেয়ে কম তীব্র ছিল এটি।’ এ ছাড়া ৩০ মিনিটের সাক্ষাৎকারে কেবলমাত্র হিলারির ইমেইল ইস্যুতেই ১০ মিনিট সময় ব্যয় করেন লর। অথচ, তিনি আইএস’র ইস্যুতে হিলারিকে ‘সংক্ষেপে’ উত্তর দেয়ার অনুরোধ করেন। এ নিয়েও সমালোচনা করেন সাংবাদিকরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.