নামটি হৃতিক রোশন বা বিশেষ কোনো পুরুষের দেওয়া নয়! তাহলে বিশেষ ওই নামে আপত্তি কেন কঙ্গনা রনৌতের? আসলে কঙ্গনা রনৌত ‘কিং আঙ্কল’ নামটি পেয়েছিলেন ‘তনু ওয়েডস মনু: রিটার্নস’-এর শুটিং চলাকালীন!
নায়িকার এক ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, সেই সময়ে তাঁকে পরিচালক আনন্দ এল রাই এবং সহ-অভিনেতারা প্রকাশ্যেই, এমনকি শুটিং-দলের অন্যরাও আড়ালে বলতেন ‘কিং আঙ্কল’। ১৯৯৩-এর জ্যাকি শ্রফ, শাহরুখ খান অভিনীত সেই বিখ্যাত ছবির নামে!
হঠাৎ কেন জ্যাকি শ্রফ অভিনীত চরিত্রের নাম জুড়ে গেল নায়িকার গায়ে? জানা গেছে, কঙ্গনা না কি ‘তনু ওয়েডস মনু: রিটার্নস’-এর শুটিং চলাকালীন শুটিং স্পটে পৌঁছে খুবই খিটখিট করতেন! এটা ঠিকঠাক হচ্ছে না, সেটা কেন সময়মতো হয়নি- এরকম নানা ব্যাপার নিয়ে তাঁর বকুনির মুখে পড়তেন শুটিং-দলের লোকজন। জ্যাকি শ্রফ অভিনীত ‘কিং আঙ্কল’-এর মতো এরকম রাগ আর নিয়মানুবর্তিতা দেখানোর জন্য এই ডাকনামটি পেয়েছিলেন নায়িকা!
তবে কঙ্গনা মোটেও এই ডাকনামটাকে সহজভাবে নিতে পারেননি! কারণ তিনি ছবির ভালোর জন্যই খিটখিট করেছেন আর সেটাকে নিয়ে সবাই যদি মশকরা করে, তবে তো তা তাঁর ভালো লাগার কথাও নয়! সেই জন্যই ‘কিং আঙ্কল’ শব্দটা শুনলেই রেগে যান কঙ্গনা রনৌত।
তবে, নিন্দুকেরা বলছেন, কঙ্গনার খারাপ লাগার কারণটা লুকিয়ে রয়েছে অন্য জায়গায়! ‘কিং আঙ্কল’ ছবির পরিচালক ছিলেন রাকেশ রোশন! সেই রাকেশ রোশনের ‘কৃষ ৩’ ছবি করতে গিয়ে টাকা-পয়সা এবং আরও নানা ব্যাপারে খিটিমিটি বেধেছিল কঙ্গনার। এছাড়া সেই ছবির শুটিং করতে গিয়ে হৃতিক রোশনের সঙ্গে একটা সম্পর্কও গড়ে ওঠে কঙ্গনার! পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে বলিউডের এক সেরা পরনিন্দা-পরচর্চার বিষয়! সেই জন্যেই ‘কিং আঙ্কল’ তকমাটা সহ্য করতে পারেন না তিনি!
অবশ্য, কোনো খারাপ সময়ই বেশি দিন স্থায়ী হয় না। এই ডাকনাম-সংক্রান্ত ব্যাপারেও তাই কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেয়েছেন নায়িকা। সম্প্রতি বিশাল ভরদ্বাজ ‘রেঙ্গুন’ ছবির শুটিংয়ের সময় আরেকটি ডাকনাম দিয়েছেন কঙ্গনাকে। তাঁর মতে কঙ্গনা ভারতের ‘ওয়ান টেক অ্যাক্টর’! মানে, একটা শট একবারেই করে ফেলেন কঙ্গনা। বিশাল ভরদ্বাজের দেখাদেখি ‘রেঙ্গুন’-দলের সবাই এই নামেই এখন ডাকছেন কঙ্গনাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই নামে আপত্তি নেই কঙ্গনার!
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.