শ মাস ওয়ানডে না খেলার প্রভাব পড়েছে দলে। যার প্রভাবেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বেশ নড়বড়ে মনে হয়েছে স্বাগতিকদের। ২৬৫ রান করেও শেষ মুহুর্তে জয় এসেছে মাত্র৭ রানে। বড় দল হিসেবে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে আনে টাইগাররা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে কোন ধরণের ঝুকি না নিয়ে সিরিজটা নিজেদের করতে চান দলে অন্যতম অভিজ্ঞ সদস্য মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আগামীকালই মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে এমন নড়বড়ে পারফরমেন্সের কারন হিসেবে মাহামুদুল্লাহ দায়ী করেন ১০ মাসের বিরতীকে। ‘দশ মাস পর আমরা ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলাম। একটু নড়বড়ে হওয়ার ওটাও একটা বড় কারন। আশা করি এসব ভুল ত্রুটি শুধরে আগামী ম্যাচে মাঠে টিম বাংলাদেশ‘-বলেন এই অলরাউন্ডার।’ গতকাল কোন রকম অনুশিলন না করে হোটেলেই কাটিয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে দুপুরেই অনুশিলনে চলে আসে স্বাগতিকরা। কিন্তু কিছুক্ষণ গা গমর করে মূল অনুশীলণে যাওয়ার আগেই শুরু হয় অঝড় বৃষ্টি। টানা ২ ঘন্টা বৃষ্টিতে টাইগারদের আর মাঠের অনুশীলনটা করা হয়নি। আফগানদের বিপক্ষে জিততে কষ্ট হলেও মাহমুদুল্লাহ জানালেন তাদের আত্নবিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশই জিতবে। তিনি বলেন, ‘আমার শুধু এতটুকু বিশ্বাস ছিল, যখন ওরা ভাল একটা পার্টনারশিপ করছিল, সেকেন্ড উইকেট পার্টনারশিপটা- আমরা বিশ্বাস ছিলো যে দুই একটা উইকেটের পতন ঘটলে আমরা ইনশাআল্লাহ কামব্যাক করতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ যে আমরা ম্যাচটা জিতে বের হয়েছি।’ এই জন্য অবশ্য পেসারদের পাশাপাশি সাকিবকেও কৃতিত্ব দিলেন তিনি। ‘আমার মনে হয় যে মাশরাফি ভাইয়ের লাস্টের স্পেলের তিনটা ওভার এবং সাকিবের ৪৭তম ওভারটা খুব ক্রুশিয়াল ছিল। কারণ ওটা থেকে মাত্র একটা রান এসেছিল। তারপর রানরেট নয়ে চলে যায়। এরপর আমার বিশ্বাস ছিল রুবেল ও তাসকিনরা যদি ওদের ভাল ইয়র্কারগুলো দিতে পারে ইনশাআল্লাহ আমরা ম্যাচে ফিরতে পারব। একইসাথে ওই সময় উইকেটও আমরা তুলেছি। ওইদিক থেকে আমরা এগিয়ে গিয়েছি বলে আমি মনে করি যোগ করেন এই রিয়াদ।’ ব্যাট হাতে দলের খারাপ সময় হাল ধরেছিলেন। ব্যাট হাতে করেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ৬২ রান। তবে ইনিংসা আরও লম্বা করতে পারতেন এই অল রাউন্ডার। কিন্তু হয়নি। সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সময় একটি ক্যাচও ফেলেছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি তখন সেঞ্চুরির কথা চিন্তা করছিলাম না। আমি যকণ ব্যাট করছিলাম তখন উইকেট খুবই ভাল আচরণ করছিল এবং খুব সুন্দর ভাবে বল ব্যাটে আসছিল। তাই যতটা রান বাড়ানো যায় সেদিকে দৃষ্টি ছিলো আমার। আমি জানি ৪০ ওভারের পর ওরা আরেকটা ফিল্ডার বাইরে পেত। তো আমি চিন্তা করছিলাম ৪৮তম ওভার যদি আমি থাকি তাহলে আমি হয়তোবা বিগ শটে যাব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হয় যে আরেকটু ক্যারি করা উচিত ছিল।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.