বন্ধুর শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ বোনদের নিয়ে এসে চোখের জলে ভাসতে হচ্ছে ভাইকে। কখনো কল্পনাও করেনি বোনের ইজ্জত এভাবে হরণ করা হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামের ইউনুছ মিয়ার মেয়ে মাসুদা বেগমের বিয়ে ছিল। বিয়েতে মাসুদার দুলাভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে রুশন মিয়া দাওয়াত করেন তার বন্ধুকে।
দাওয়াত পেয়ে তার দুই বোনকে নিয়ে বেড়াতে শিয়ালউড়ি গ্রামে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ওই বন্ধু। বিয়ের পর দুই বোনের থাকার জায়গা দেয়া হয় ইউনুছ আলীর ভাই মধু মিয়ার ঘরে। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের নেশা জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়। খাওয়া শেষে দুই বোন এক সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল।
তখন মধু মিয়ার মেয়ের জামাই উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের আনন্দগ্রামের আলী হোসেনের ছেলে নুর আলম ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন নুর আলমকে আটক করে।
পরে নুর আলমের স্বজনরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সকালে বোনকে সঙ্গে নিয়ে মাধবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই বন্ধু।
তিনি বলেন, ‘কখনো ভাবিনি আমাদের সঙ্গে এমন করা হবে। বন্ধুর দাওয়াতে এসে আমার বোনের ইজ্জত যাবে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আশীষ কুমার মৈত্র জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষাছাড়া কিছু বলা যাবে না।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মাধবপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকতাদির হোসেনের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মেয়ের মা-বাবা আসলে তাদের বক্তব্য শুনে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.