ভোলায় পানির সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের আঃ সোবাহানের ছেলে রাজিব (২২) ও দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের দিদারুল্ল্যাহ গ্রামের আনসার মোল্লার ছেলে আল-আমিন (২০)। তারা দুজনে রাজমিস্ত্রী। শনিবার সকালে ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে মিথেল গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোলা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ির পাশে গনি রাজের বাড়িতে গত প্রায় ২ মাস ধরে রাজ-মিস্ত্রীসহ ১৫-১৬ জন শ্রমিক নির্মাণকাজ করছিল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে দুজন রাজ-মিস্ত্রী রাজিব ও আল-আমিন নির্মানাধীন বাড়ির এক তলা ভবনের নিচ তলায় সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ট্যাংকের ভেতরে ঢোকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তারা ট্যাংকের ভেতর থেকে না আসায় অন্য শ্রমিকরা তাদেরকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, রাজিব ও আল-আমিন ট্যাংকের ভেতরে প্রায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুই শ্রমিককে মৃত ঘোষণ করেন। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, তাদেরকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেফটিক ট্যাংকটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে ভেতরে মিথেল গ্যাস তৈরি হয়েছে। এতে ওই মিথেল গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে রাজিব ও আল-আমিনের মৃত্যু হয়। নির্মানাধীন বাড়ির পাশের এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও সালাউদ্দিন জানান, প্রায় ২ মাস ধরে গনি রাজের বাড়িতে ১৫-১৬ জন রাজ-মিস্ত্রী কাজ করছিল। শনিবারও শ্রমিকরা সেখানে নির্মাণকাজ করেছিল। এর মধ্যে রাজিব ও আল-আমিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভবনের নিচ তলায় সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ট্যাকের ভেতরে ঢোকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তারা ট্যাংকের ভেতর থেকে না আসায় অন্য শ্রমিকরা তাদেরকে প্রায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, লাশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.