মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘জয়ী’ হয়েছেন মহামতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তিনি হোয়াইট হাউসের অধিকর্তা। উঠতে-বসতে হাজারো সভাসদ, সেপাই-সান্ত্রি, পাইক-পেয়াদা তাঁকে অনবরত সালাম ঠুকছেন। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রকেই মহান করে তোলেননি, বাঁচিয়েছেন পুরো বিশ্বকেই। মর্ত্যবাসীর সমস্যার সমাধান তো হলো। এবার তিনি যাবেন পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, গ্রহান্তরে। সেসব গ্রহের সমস্যাগুলোর সমাধান না করলে ঠিক শান্তি পাচ্ছেন না তিনি। এ পর্যন্ত পড়ে যদি রূপকথা মনে হয়, তবে বলে রাখি, এই রূপকথা নিয়েই তৈরি হয়েছে স্মার্টফোনের গেম। ‘জ্রাম্প’ নামের এই গেমকে অনায়াসেই ভবিষ্যতের গেম বলা যেতে পারে। কারণ পটভূমির শুরুটা ২০১৭ সালে। জ্রাম্প গেমে প্রতিনিয়ত গেমারকে ট্রাম্পের জন্য দেয়াল তৈরি করে যেতে হবে। তাও আবার ঊর্ধ্বক্রমে। এই বিভেদের দেয়ালে ভর করে ডোনাল্ড ট্রাম্প উঠতে থাকবেন ওপরের দিকে। গেমার যদি দেয়াল তৈরিতে ব্যর্থ হন, তবে ট্রাম্প নিচে পড়ে যাবেন, ট্রাম্পের কপালে জুটবে ‘দুর্বল’ অথবা ‘পরাজিত’ উপাধি। ট্রাম্পের নিচে পড়ার যথেষ্ট কারণও আছে। তাঁর গতি রোধ করতে বই হাতে থাকবেন গবেষক-অধ্যাপক। বারাক ওবামা কিংবা হিলারি ক্লিনটনও উদয় হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মিশন রুখতে। গেমারের কাজ হলো দেয়ালের ওপরে ভর করে এদের সবাইকে এড়িয়ে ট্রাম্পকে অনেক…অনেক অনেক ওপরে উঠে যেতে সাহায্য করা। মার্কিনদের নির্বাচনের ধরনটাই এমন। জাতীয় নির্বাচনের আলোড়ন আন্তর্জাতিক পর্যায়েই যেন বেশি হয়। সেই আলোড়ন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি হয়ে প্রযুক্তিতেও পড়ে। গেমেও তাই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এই গেম বানিয়েছে মার্কিনদের কেউ নন, নিউজিল্যান্ডের এক গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। কারণ? ডোনাল্ড ট্রাম্পের খ্যাতি—সেটা সুখ্যাতি হোক আর কুখ্যাতি। ২০১৬ মার্কিন নির্বাচনের সঙ্গে গেমটির কোনো মিল নেই। তবে নিছক আনন্দ পাওয়ার জন্য হলেও ছোট্ট এই গেমটি মোটেই মন্দ নয়। নামানোর ঠিকানা অ্যান্ড্রয়েড: https://goo.gl/bSjzb0 আইওএস: https://goo.gl/fsoJqI