স্প্যানিশ লা-লিগায় একই দিনে তিন জায়ান্ট দল মাঠে নামে। প্রথম ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পরের ম্যাচে এইবারকে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। কিন্তু তারা পুঁচকে এ দলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এতে দিনের শেষ ম্যাচে সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের সুযোগ পায় বার্সেলোনা। কিন্তু তারা উল্টো হেরে বসে সেল্টা ভিগোর কাছে। বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে বিধ্বস্ত করে স্বাগতিকরা। এতে মৌসুমে দ্বিতীয় হার দেখে লুইস এনরিকের বার্সেলোনা। প্রায় এক দশক পর এমন হার দেখালো কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। ২০০৭ সালে তারা ভিয়ারিয়ালের কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে। ওই ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩ গোল হজম করেছিল বার্সেলোনা। ওই ঘটনার প্রায় এক দশক পর প্রথমার্ধে ৩ গোল খেলো তারা। এই হারে এক রাতে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে লুইস এনরিকের দল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট সমান ১৫ হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো। আর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সেভিয়া। বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৩। লিওনেল মেসিহীন বার্সেলোনা এদিন প্রথমার্ধেই হতভম্ভ হয়ে পড়ে। পিছিয়ে পড়ে ৩-০ গোলে। মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল খায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে সিসটোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক সেল্টা ভিগো। এরপর ৩১ মিনিনে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাগো আসপাস। আর এর মাত্র এক মিনিট বাদে আত্মঘাতী গোলে সেল্টা ভিগোর ব্যবধান আরো বাড়ান বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ। দ্বিতীয়ার্ধে সফরকারীদের হয়ে জোড়া গোল করেন ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। কিন্তু তাতেও উদ্ধার পায়নি কাতালানরা। ৫৮ মিনিটে প্রথমে ব্যবধান কমান পিকে। এরপর ৬৪ মিনিটে পেনাল্টির গোলে ব্যবধান ৩-২ করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার। কিন্তু ৭৭ মিনিটে হারনানদেজের অবিশ্বাস্য এক গোলে ফের এগিয়ে যায় সেল্টা ভিগো। গোলটি প্রতিপক্ষকে যেন উপহার দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক টার স্টেগান। নিজের অধীনে থাকা বলটি তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেল্টা ভিগোর খেলোয়াড় হারনানদেজের মাথার ওপর দিয়ে দিতে চান। কিন্তু হারনানদেজ একটু লাফিয়ে উঠে বলটি মাথা দিয়ে বার্সেলোনার জালে জড়িয়ে দেন। এমন নিরেট বোকামির জন্য বার্সেলোনার গোলরক্ষক সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার হারের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদিন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে পিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করলেও উদ্ধার পায়নি বার্সেলোনা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.