ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ডেনিম উৎসব। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তরুণ-তরুণী, ফ্যাশন ডিজাইনার, দেশী-বিদেশী বায়ারদের ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে ৬ষ্ঠ ডেনিম প্রদর্শনীর প্রাঙ্গণ।
এবারের উৎসবে নজর কেড়েছে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান যমুনা ডেনিমস। বায়ার, দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তাদের চাহিদাকে সামনে রেখে শতাধিক ডিজাইনের ডেনিম প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটি। আকর্ষণীয় ডিজাইনের সন্ধানে বায়ার ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় যমুনা ডেনিমসের স্টলে। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে প্রদর্শনী ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
যমুনা ডেনিমসের মার্কেটিং ম্যানেজার (ফেব্রিক্স) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মেলার স্টলে বসে যুগান্তরকে বলেন, পণ্যের মান বৃদ্ধিতে যমুনা ডেনিমসের নিজস্ব গবেষণা টিম রয়েছে যারা বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্যের মানোন্নয়নে কাজ করছে। গুণগত মান নিশ্চিত করায় এবার প্রদর্শনীতে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এ প্রদর্শনী ডেনিমের রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিযোগীদের পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে ধারণা দেবে। যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করবে।
৬ষ্ঠ ডেনিম উৎসব ২০১৬-এ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি ডেনিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বিশ্বব্যাপী ডেনিমের সাড়া জাগাতে এবারের প্রদর্শনীর থিম ছিল ‘ভিন্টেজ রিকল’। ভেন্যুজুড়ে তৈরি করা হয় ডেনিম ভিলেজ। এ প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য প্রদর্শন করে যমুনা ডেনিমস। বিশেষ করে মডাল ফেব্রিক্স, ডুয়ালকোর লেকরা, টেনসিল, লায়সেল ফেব্রিক্স ও বিসকস প্রদর্শন করা হয়।
যমুনা ডেনিমসের ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলম যুগান্তরকে জানান, বুধবার উদ্বোধনের পর থেকেই বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা অন্য স্টলগুলোর তুলনায় যমুনা ডেনিমসের স্টলে পরিদর্শন করেছে অনেক বেশি। এ ছাড়া দেশে অবস্থিত ভারত, পাকিস্তান ও ইউরোপের বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও যমুনা ডেনিমস পরিদর্শন করেছেন এবং আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, এবারে উৎসবের থিম ছিল ‘ভিন্টেজ রিকল’। এর অর্থ ডেনিমে বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্য যার রং, সেলাই ও ধরন দর্শনার্থীকে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ দশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। টেক্সটাইল ডেনিমকে প্রসারের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এবারের প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হল- আধুনিক সেলাই, সুতার কাজ ও বুননে পরিপূর্ণতার ছোঁয়া এনে পোশাকের প্রাচীন রূপ তুলে ধরা। যার বাইরের অংশে প্রাচীন ডেনিম শিল্পের প্রভাব থাকলেও ভেতরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর যমুনা ডেনিমসের পণ্যগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে যমুনার স্টল।
যমুনার স্টলে আসা তুরস্কের বায়ার ফ্লোথি খোসলার যুগান্তরকে বলেন, উৎসবে অংশ নেয়া অন্য স্টলগুলোর চেয়ে যমুনা ডেনিমসের স্টল অনেক আকর্ষণীয়। এর পণ্যগুলোও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.