মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারলেন না নোভাক জকোভিচ। সাংহাই ওপেনের ফাইনালে উঠতে না পেরে রাগের চোটে র্যাকেট ভাঙলেন কোর্টের মধ্যেই। সার্বিয়ান টেনিস তারকা যদি ফর্ম ফিরে না পান অচিরেই তিনি হারাবেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান। গত দুবছর অনেকটা একচেটিয়া দাপট দেখানো জকোভিচ সাংহাই এসেছিলেন শিরোপা নয়, মানসিক স্বস্তি ফিরে পেতে। সম্প্রতি তার ফর্মে ঘাটতি যাওয়ায় মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন ঠাণ্ডা মাথার এ তারকা। কিন্তু লাভ হলো না, ফাইনালের আগে হেরে গেলেন রবার্তো বতিস্তার কাছে। আর এতে কেবল নিজের শার্টই ছেঁড়েননি, মাটিতে র্যাকেট আছড়ে মেরেছেন এবং চেয়ার আম্পায়ারের দিকেও তেড়ে যান। তার আক্রোশটা বেড়ে যাওয়ার কারণ ফাইনালে উঠে গেছেন তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৃটেনের অ্যান্ডি মারে। তিনি কোনো সেটই হারেনি। এতে জকোভিচের শীর্ষস্থান পড়ে গেছে হুমকির মুখে। দুই বছরে ১২ গ্রান্ড স্লামের ছয়টি জেতার পর কেমন যেন খাপ ছাড়া হয়ে গেছেন জকোভিচ। তিনি হলেন সেই বিরল সফলদের একজন যারা একই চারটি গ্রান্ড স্লামই জিতেছেন। তার আয়ও ছাড়িয়ে গেছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। তবে তার টানা ৩০ ম্যাচে জয়ের ধারা থেমে যায় উইম্বলডনে। সেখানে তৃতীয় রাউন্ডে হারেন ৪১তম বাছাই স্যাম কুয়েরির কাছে। অলিম্পিকে চোখের জল ফেলে বিদায় নেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। এরপর ইউএস ওপেনের ফাইনালেও হেরে যান স্টান ভাভরিঙ্কার কাছে। তিনি স্বীকার করেন, কনুই ও কব্জির ব্যথা আর ব্যক্তিগত কিছু বিষয় তার খেলার মান কমিয়ে দিয়েছে। তবে খেলা শেষে অ্যান্ডি মারে সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিশ্চিত তিনি শিগগিরই ফিরবেন। এটা হতেই পারে। মানসিক চাপ সবসময় এক রকম হয় না। ধারাবাহিক ভালো খেলার পর খারাপ করলে এমন হতেই পারে।’ জকোভিচ বলেন, আমি এখন আমার ছেলের জন্মদিন পালন করতে যাবো। আমার সামনে এখন এটাই বড় ইভেন্ট। কোর্টের বাইরেও আমার অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। এরকম অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না। আমি জানতাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি সবসময় একই রকম খেলে যেতে পারবো না। এটা একটা ভালো অভিজ্ঞতা, আশা করি দ্রুতই আমার ভালো সময় ফিরে আসবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.