দেশের সকল নৌযানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকার নৌশুমারির কার্যক্রম শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে ৪৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে নৌ মন্ত্রণালয়।
‘ন্যাশনাল শিপস অ্যান্ড মেকানাইজড বোটস ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে এ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা এ কাজ শুরু করেছে। কাজ চলছে।’
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, শুমারির জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তার উদ্দেশ্য হলো- ইঞ্জিনচালিত বোটসহ সারাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌযানের তথ্য সংগ্রহ করা। নৌযানের সকল প্রকার সাধারণ এবং কারিগরি তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরি করা।
এরপর নৌযানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে রাজস্ব আয় বাড়ানো। অনলাইন নিবন্ধন এবং সার্ভে সনদ ও নাবিক সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। নৌ খাতে শক্তিশালী আধুনিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা।
এদিকে সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রের তথ্য অনুযায়ী, নৌ পথে চলাচলকারী স্পিড বোটগুলোও নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করেছে।
স্পিড বোটের মালিকানা বিবরণ সম্বলিত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ফরম তৈরি করা হয়েছে। ফরমগুলো মাওয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটের স্পিডবোট মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া ছোট ছোট নৌযানের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভ্যাট আদায় করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
কমিটির সদস্য নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আবদুল খালেক, আবদুল হাই, এম আবদুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.