কুল্লু মানালী। নিশ্চই ইতিমধ্যেই অনেকে ভেবে রেখেছেন এখানে ভ্রমণের কথা? কেন নয়? পর্বতে পর্বতে ঘেরা, নানান রঙ এর ফুলে ঢাকা, সবুজে মোড়ানো কুল্লু মানালী পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বহু বছর ধরে। একে বলা হয় ‘Land of Gods’। এখানে আছে উল্লেখযোগ্য অনেক মন্দির যা বিশ্বাসীদের তীর্থস্থান হিসেবে গণ্য হয়।
চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং ফুরফুরে আবহাওয়ার জন্য কুল্লু মানালী হানিমুনের জন্যও আকর্ষণীয়। চমৎকার এই ভ্যালীতে বেড়ানোর জন্য আছে অসংখ্য উপকরণ। তার মাঝে কয়েকটি তুলে ধরছি এখানে।
হাদিম্বা টেম্পল:
এটি একটি প্রচীন মন্দির। ১৫৫৩ সালে এর প্রতীষ্ঠা হয়। এর স্থাপত্য শৈলীর বিশেষত্ব পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। চার টায়ার্ড বিশীষ্ট প্যাগোডা ছাদ মন্দিরে যোগ করেছে আলাদা বিশেষত্ব। আসলে এটি একটি গুহা মন্দির যা চমৎকারভাবে কাঠের কার্ভিং করা। মন্দিরটি উৎসর্গিত দেবী হাদিম্বার উদ্দেশ্যে, তিনি ভীমের স্ত্রী। ভীম ছিলেন মহাভারতের পঞ্চ পান্ডবের একজন।
সোলাং ভ্যালী:
এই অসাধারণ ভ্যালীটি আপনাকে দেবে গ্লাসিয়ার্স আর বরফাবৃত পাহাড়ের দৃশ্য। এটি ক্যাম্পিং এর জন্য চমৎকার একটি জায়গা। তাই দূরের কাছের সমস্ত ট্রাকিং প্রিয়দের কাছে টানে জায়গাটি। সোলাং ভ্যালীতে স্কিইং খুবই জনপ্রিয়। এখানে অনেক স্কিইং ক্লাব আছে যেখানে আপনি স্কিইং এর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং যন্ত্রপাতি পাবেন। রোমাঞ্চপ্রিয়রা তাই অবশ্যই মিস করবেন না সোলাং ভ্রমণ।
মানিকারান:
উষ্ণ প্রসবণ, শীতল ভ্যালীতে। অবাক করা হলেও এটা কিন্তু সত্যি। মানিকারান এর উষ্ণ প্রসবণের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ আসে এখানে। স্প্রিংস এর পানি এতই গরম যে আপনি ভাত-তরকারি রান্না করতে পারবেন! কথিত আছে যে, দেবী পার্বতী এখানে তার কানের দুল হারিয়ে ফেলেন এবং ফুটন্ত পানির ঝর্ণায় সেটি আবার খুঁজে পান।
গাধান থেকচকিং গুম্ফা: ১৯৬০ সালে তিব্বতীয় রিফিউজিরা এই গুম্ফা তৈরি করেন। এখানে আছে সুন্দর একটি বৌদ্ধমূর্তি। আছে একটি ফলক যেখানে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সালের তিব্বতের যুদ্ধে শহীদদের। একবার ঘুরে যেতে পারেন অনন্য গুম্ফা এলাকায়।
কোঠী: এটি একটি শান্ত সুনিবিড় জায়গা। চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য আর গুরু গম্ভীর পর্বত কোঠীর বৈশীষ্ঠ্য। এখানে পরিবেশের সাথে মানানসই একটি রেস্ট হাউজ আছে, যা এই শান্তি উপভোগের জন্য একেবারে পার্ফেক্ট। কোঠীর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিস নদী যা এই পর্যটক এলাকায় যোগ করেছে আরও সৌন্দর্য্য। নিজের সকল স্ট্রেস থেকে দূরে প্রশান্তির সময় কাটাতে চাইলে অবশ্যই বেড়িয়ে আসুন কোঠীতে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.