জার্মান অটোমোবাইল সংস্থা ‘দাইমার আগ’ নিয়ে এসেছে মার্সিডিজ বেঞ্জের চালকবিহীন বা অটোম্যাটিক বাস। যাত্রীবাহী এই বাস চালানো হয়েছে নেদারল্যান্ডসের রাস্তায়। বর্তমানে চালকবিহীন টেকনোলজির গাড়ি নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের সব নামকরা অটোমোবাইল সংস্থা। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে গুগলও। এরই মধ্যে তারা অনেকদূর এগিয়েছে কাজ। মহাসড়কে ওঠার পর বাসটি যেমন অটোম্যাটিক গতি বাড়িয়েছে তেমনি আবার পথচারীদের দেখে বাসটি গতি কমিয়ে থেমেও গেছে। ২০ কিলোমিটার রাস্তায় অটোম্যাটিক পদ্ধতিতে চলেছে গাড়িটি। ঠিকঠাকভাবে স্টপেজ থেকে যাত্রীদের নিয়ে আবার ঠিকমতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে। তবে যেহেতু পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবার বাসটি রাস্তায় নামানো হয়েছে তাই চালকের আসনে একজন চালক বসে থাকলেও তাকে কোনো কষ্ট করতে হয়নি। মার্সিডিজ বেঞ্জ এই বাসটির নাম দিয়েছে ‘ফিউচার বাস’।
বাসের ভেতরে ফোন চার্জিংয়ের জন্য রয়েছে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে ফিউচার বাস। নির্দিষ্ট স্টপেজে এসে কিছুক্ষণের বিরতি নেয় বাসটি। এ সময় যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবে। বাসটির ইন্টেরিয়রও বেশ চমৎকার। ভেতরে রাখা হয়েছে বেশ জায়গা, যাতে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারে।
মার্সিডিজ বেঞ্জের এই সংস্থা ‘দাইমার আগ’ তৈরি করেছে ‘হাইওয়ে পাইলট অটোনোমাস ট্রাকিং টেকনোলজি’। এই প্রযুক্তিতেই চালানো হয়েছে ফিউচার বাস। এ ধরনের বাসে রয়েছে জিপিএস, রাডার ও এক ডজন ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ট্র্যাফিক সিগন্যাল, পথচারী ও রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়িটি চলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.