ইয়াসির শাহের স্পিন বিষে ফের কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে এক টেস্টে হাতে রেখেই তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিলো পাকিস্তান। দুবাইয়ে প্রথম টেস্টে ৫৬ রানে জয়ের পর আবুধাবিতে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো ১৩৩ রানে। ৩০শে অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্ট জিতে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার অপেক্ষায় পাকিস্তান। এই নিয়ে সর্বশেষ ৫ টেস্ট সিরিজের চারটিতেই জিতলো পাকিস্তান। এর আগের সিরিজে তারা ইংল্যান্ডের মাটি থেকে ৪ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ড্র নিয়ে ফেরে। তার আগে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডকে টানা তিন সিরিজ হারায় তারা। আর সব মিলিয়ে শেষ ১১ টেস্ট সিরিজে মাত্র এক হেরেছে পাকিস্তান। ২০১৩ থেকে তাদের এই পথচলা শুরু। এরপর ২০১৪-১৫ তে তারা শুধু শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরেছে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৫২ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২৪ রান করে। ২২৮ রানে এগিয়ে থেকে পাকিস্তান ২ উইকেটে ২২৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। এতে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে ক্যারিবীয়দের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৫৬ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৩০০-এর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের আছে পাঁচবার। এবারও পাহাড়সম সেই লক্ষ্য নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাটে নামে তারা। কিন্তু পঞ্চম দিন ৩২২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির শাহ নেন ১২৪ রানে ৬ উইকেট। এতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন পাকিস্তানের এ লেগ স্পিনার। বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেন তিনি। চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৩৪ রানে ৭ উইকেট নেন ইয়াসির। এতে দুই টেস্টে তার মোট উইকেট দাঁড়ালা ১৭। ৪ উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে গতকাল মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জার্মেই ব্ল্যাকউড ৪১ ও রোস্টন চেস ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু এদিন মাত্র ৩ রান যোগ করে ইয়াসির শাহের শিকার হয়ে ফেরেন রোস্টন। পঞ্চম উইকেটে তারা যোগ করেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। শাই হোপকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটেও দৃঢ়তা দেখান ব্ল্যাকউড। ৫৭ রান যোগ করে এ জুটি। ব্ল্যাকউইড ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ১১ চারে ১২৭ বলে ৯৫ রানে ইয়াসির শাহের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর হোপ ৪১ রান যোগ করলেও শেষদিকে আর কেউ তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। সংক্ষিপ্ত স্কোর পাকিস্তান: ৪৫২ ও ২২৭/২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২২৪ ও ৩২২ (ব্র্যাথওয়েট ৬৭, স্যামুয়েলস ২৩, ব্ল্যাকউড ৯৫, হোপ ৪১, বিশু ২৬, রাহাত ১-৬৯, ইয়াসির ৬/১২৪, জুলফিকার ২/৫১, নওয়াজ ১/২৯)। টস: পাকিস্তান (ব্যাটিং) ফল: পাকিস্তান ১৩৩ রানে জয়ী ম্যাচসেরা: ইয়াসির শাহ সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ পাকিস্তান ২-০
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.