দীর্ঘদিন টানা বর্ষণের পরে আবার পরছে গরম।এই গরমে মানুষ পোশাকের প্রতি একটু সচেতন হয়ে পরেছে।আমাদের দেশে বর্তামানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত । মেয়েরা কাজের পাশাপাশি তাদের আনুষাঙ্গিক সব কিছুর প্রতিই একটু বেশি নজর দেন। পোশাকের ব্যাপারে তো তারা আরও বেশি সচেতন।
গরমে মেয়েদের পোশাক হওয়া উচিত আরামদায়ক। খুব মোটা কাপড়ের না হয়ে পাতলা কাপড়ের হলে সব থেকে ভাল হয়। বিশেষ করে শর্ট ফতুয়া, শর্ট কামিজ, টিশার্ট ইত্যাদি পোশাক মেয়েরা গরমের উপযোগী পোশাক হিসাবে ব্যবহার করেন। গরমের উপযোগী পোশাক ছাড়াও এটাকে তারা ফ্যাশন হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন।
গরমে পোশাকের প্রতি যেমন সচেতন হতে হয় তেমনি পোশাকের রঙের বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।গরমে মেয়েদের পোশাকের রঙ হবে হালকা। যেমনঃ সাদা, অফহোয়াইট, সবুজ, বেগুনি, হাল্কানীল ইত্যাদি। রঙটাও অনেক সময় দেহের গরম কমায়। অনেকে হাতা কাটা জামা পরতে পছন্দ করেন। এই গরমে ছোট হাতা, থ্রীকোয়ার্টার হাতা পরাই ভাল।
এই গরমে অনেকে মাথা ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করে থাকেন।স্কার্ফ ব্যবহারের ফলে রোদ থেকে বাঁচা যায়।মাথার চুল নষ্ট হওয়া থেকে মুক্তি পায়। অনেকে ছাতা ব্যবহার করে থাকেন।গরমের দিনে সব সময় ব্যাগে একটি ছাতা এবং খাবার পানি অবশ্যই রাখা উচিত। এখানে গরমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কিছু উপায় জানাচ্ছি-
ঠাণ্ডা, আরামদায়ক পোশাক পরিধান- গরমকালে আরামদায়ক সূতি পোশাক এবং মোজা পরলে তা তাপমাত্রা ও ঘাম প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারণ এই সময় অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাক পরলে অস্বস্তির সৃষ্টি হবে।
হাল্কা খাবার গ্রহণ- অবশ্যই এই দিকটি নিশ্চিত করতে হবে যে এই সময় হালকা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া হচ্ছে। কম মশলাযুক্ত, প্রাকৃতিক ও কাঁচা খাবার খেতে হবে ঝাল তেল মশলাযুক্ত ভারী খাবারের পরিবর্তে।
হিট স্ট্রোক- স্বাস্থ্যকর ভাবে থাকার আরো একটি উপায় হচ্ছে হিট স্ট্রোকের ব্যাপারে সাবধান থাকা। তাই তীব্র জ্বর, বমি, মাথা ব্যাথা ও দ্রুত হৃদস্পন্দন এর মতো যেকোনো একটি উপসর্গও যদি দেখা দেয় তবে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বেশি পানি পান করা- একমাত্র পানিই অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে দেহকে রক্ষা করতে পারে। তাই গরমে বাইরের কোন কাজ বা ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই বার বার পানি বা অন্য কোন তরল পানীয় পান করে দেহকে আর্দ্র রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
গরমে অসুস্থতা- যদি দেখা যায় অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরানো,বমি বমি ভাব, পেশীতে টান পরা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মধ্য দুপুরের তপ্ত সূর্য- দিনের মধ্য ভাগে সূর্যের তাপ অনেক বেশি থাকে তাই খুব ভালো হয় যদি এই সময় এর থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়। তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে বাইরে না থেকে ভেতরে থাকাই উত্তম।
সানগ্লাসের ব্যবহার- যদি সম্ভব হয় ভালো মানের একটি সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত যার ফলে চোখকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রতিরোধেই সুস্থতা, তাই প্রত্যেকেরই উচিত অসুস্থ হওয়ার পর সাবধান হওয়ার চেয়ে আগে সাবধান থেকে নিজেকে এবং সবাইকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.