কলেরা বিষয়ক সাফল্যজনক গবেষণার জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন গবেষক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। স্যাটেলাইট ডেটার মাধ্যমে পাওয়া ক্লোরোফিল তথ্য বিশ্লেষণ করে কলেরার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে তিন থেকে ছয় মাস আগে আগাম বার্তা দেওয়ার কৌশল আবিষ্কারের জন্য মার্কিন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি এই গবেষক প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ওয়াটার (পিএসআইপিডাব্লিউ) স্বীকৃতি পেয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোষ্টনের পার্শ্ববর্তী মেডফোর্ডের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত শফিকুলের দলে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের গবেষক রিটা কলওয়েল। পিএসআইপিডব্লিউ ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী শফিকুল-রিটার দল যৌথভাবে জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ড. পিটার জে ওয়েবস্টারের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছে। পুরস্কারের ২ লাখ ৬৬ হাজার ডলার তাঁরা ভাগাভাগি করে নেবেন। সপ্তম পিএসআইপিডব্লিউ পুরস্কার গত ৫ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়। আগামী ২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সভাপতিত্বে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। রিটা কলওয়েল স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে পূর্ব এশিয়ায় কলেরার পূর্বাভাস সম্পর্কে একটি মডেল দেন। শফিকুল ইসলাম মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট তথ্য ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগর এলাকায় রিটার মডেলের সফল প্রয়োগের পাশাপাশি আরেকটি মডেল দেন। একই বিষয়ে দুজনের গবেষণার জন্য এ বছর তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে পিএসআইপিডব্লিউ জানিয়েছে। শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৮৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইউনিভার্সিটি অব মেইন ও এমআইটিতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। শফিকুল ইসলাম ম্যাসাচুসেটসের বোষ্টন প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেশ পরিচিত। তিনি প্রবাসীদের নানা কর্মকান্ডেও নিয়মিত অংশ গ্রহন করে থাকেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.