ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গত ৩০ অক্টোবরের হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে ও আগের আটক ব্যক্তিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, নাসিরনগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে নাসিরনগরে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা মন্দির, হিন্দুদের বাড়িঘর এবং দোকানপাটে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এরপর শুক্রবার ভোররাতে ফের নাসিরনগরের হিন্দুপল্লীর ৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ চরম আতংকে রয়েছেন।
এসব ঘটনায় করা দু’টি মামলায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নাসিরনগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আজকের পর গ্রেফতার দাঁড়াল ৫৩।
এদিকে, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫শ’ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক স্থানীয় ডাকবাংলোতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকির দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
ইতিমধ্যে নাসিরনগরের ঘটনায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের ঘনিষ্ঠ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এরা হলেন, নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী সুরুজ আলী ও হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.