মাটির নিচে ঘরবাড়ি বানিয়ে থাকলে কেমন হবে? যদি সেখানে আলো-বাতাস ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা ঠিকমতো থাকে, নিশ্চয়ই ব্যবস্থাটা অসাধারণ। এ রকম ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। এর নাম ওপেন প্ল্যাটফর্ম ফর আর্কিটেকচার (ওপিএ)। ভূগর্ভে আবাসনের তিনটি সম্ভাবনাময় নকশা করেছে ওপিএ—দ্য প্লিন্থ, দ্য হলিক্রস এবং কাসা ব্রুটালে। এই ত্রয়ী ভবনের সম্মিলিত নাম টেরা ম্যাটার ট্রিলজি। প্রথমটি আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকার একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি প্রার্থনালয়। আর তৃতীয় নকশাটি হবে লেবাননে। সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমে এসব অভিনব ভবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। পাতালজীবনের প্রতি কেন লোকে আকর্ষণ বোধ করে? ওপিএর সহপ্রতিষ্ঠাতা লারটিস ভাসিলিউ স্থাপত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছেন, মধ্যযুগ বা তারও আগে থেকে মাটির নিচে ঘর বানানোর প্রচলন আছে। মানুষ গুহায় থাকত। গর্ত করে বাড়ি বানাত। তাই এটা নতুন কিছু নয়। পাতালবাসের নানা সুবিধা আছে। মাটি থেকে একধরনের তাপ নেওয়া যাবে। পাশাপাশি অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকেও রেহাই মিলবে। নানা কারণে লোকে পাতালবাস অপছন্দ করে। কারণ, মানুষ ভূত্বকের ওপরে বসবাস করেই অভ্যস্ত। আলো-বাতাসের সরবরাহ ওপরেই তো বেশি। তবু মানুষ নতুন কিছু বা ব্যতিক্রমী কিছু চায়। সে কারণেই ভাসিলিস এ রকম পাতালঘর বানাতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি চান, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানুষের বসবাসোপযোগী এবং পরিবেশবান্ধব এ রকম স্থাপত্য নির্মাণ হোক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.