দেশজুড়ে আলোচিত চট্টগ্রামের সেই পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনুরের আদালতে শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় আগামী ২৪শে নভেম্বর ফের অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। বিচারক ছুটিতে থাকায় আগামী ২৪শে নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এ মামলার আসামি দুই জন। একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এহতাশেমুল হক ভোলা ও অপরজন তার সহযোগী মনির হোসেন। তারা উভয়ই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছে। গত ৫ই জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ভোলা ও মনির হোসেনকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় গত ২৭শে জুলাই আদালতে এ দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয় বাকলিয়া থানা পুলিশ। দেশজুড়ে আলোচিত চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মূসাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেবে নগর পুলিশ। তবে এই ঘটনায় স্বামী বাবুল আক্তারকেও নতুনভাবে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে একটি ঘোষণা দিতে চাই। মুছাকে গ্রেপ্তার করলে অথব গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে তার জন্য আমরা একটা পুরস্কার ঘোষণা করছি। সেটি পাঁচ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, মিতু হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত আমরা সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সবকিছু বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত যেটি পাওয়া গেছে তা হলো- মুছার নেতৃত্বে একটি দল এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। এখন যাদেরকে ধরতে পেরেছি এর মধ্যে মুছা নেই। তবে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তা হচ্ছে মুছার নির্দেশে এবং তদারকিতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন যেটি পাওয়ার বিষয়, যেটি জানার বিষয় সেটি হচ্ছে মুছা স্বপ্রণোদিত হয়ে অথবা কারও নির্দেশে অথবা কারও হয়ে খুন করেছে কিনা? এই উত্তর পাবার জন্য মুছাকে পাওয়া খুবই জরুরি। মুছা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে সেই বিষয়টি আমরা জলপথ, আকাশপথ, স্থলবন্দরসহ সকল সীমান্তে জানিয়ে রেখেছি। তবে মুছাকে গ্রেপ্তারে আমরা এখনও সফল হয়নি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.