তিন কারণে এ বছর দেশে কোরবানির পশুর সংকট থাকবে না। দেশে এবার গরুর মজুদ পর্যাপ্ত। ভারত, মিয়ানমার থেকেও প্রচুর গরু এসেছে। এ বছর বন্যার কারণেও গরু বিক্রি বেড়ে যাবে। সার্বিকভাবে হাটগুলোতে পশুর সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দাম এবার নাগালের মধ্যেই থাকবে। হাটে বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হলেই কোরবানিদাতাদের কাছে তা দৃশ্যমান হবে। ইতিমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকেও বারবার দাবি করা হয়েছে, কোরবানির পশু নিয়ে দেশে কোনো সংকট হবে না।
দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে কোনো সময়ের তুলনায় এ বছর দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, খাসি ও ভেড়ার উৎপাদন বেশি হয়েছে। ফলে কোরবানিতে এবার পশুর যে চাহিদা তৈরি হবে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই তার জোগান দেয়া সম্ভব।
পাশাপাশি সারা দেশে ৪০টিরও বেশি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার পাশাপাশি ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমাণ গবাদি পশুর আমদানি হয়েছে।
এছাড়া দেশে ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ গবাদি পশু জবাই হয়ে থাকার তথ্য দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বলা হয়, এর ৬০ ভাগই কোরবানি হয়। গত বছর দেশে গবাদি পশু কোরবানি হয়েছিল ৯৬ লাখ। সে হিসাবে এ বছর কোরবানির জন্য পশুর দরকার হবে ৯৯ লাখ।
কিন্তু দেশেই কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ গবাদি পশু। গত বছরও দেশে চাহিদার চেয়ে ১৫ শতাংশ পশুর ঘাটতি ছিল। তবে এ বছরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধের পর দেশে গরুর উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর বিক্রয়যোগ্য গরুর পরিমাণ ছিল ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার, এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ। এসব পশুকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানির জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত কোরবানির পশু দেশে মজুদ রয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.