ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরের কাছে পাটনা-ইন্দোর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ রোববার ভোরে কানপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে পাখরায়ানের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এএফপির খবরে জানা যায়, কানপুর পুলিশের আইজি জাকি আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তর প্রদেশের এডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী জানান, অনেক যাত্রীই গুরুতর আহত। ভারী যন্ত্র দিয়ে বগিগুলো কেটে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বেশ কয়েকটি বাস দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগিগুলো একটি আরেকটির ওপর পড়ে রয়েছে।
নর্দান সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখপাত্র বিজয় কুমার জানান, এসটু বগিটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে থাকা যাত্রীদের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে।
কানপুর রেঞ্জের ডিআইজি রাজেশ মোদক বলেন, ট্রেনের দুটি বগি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে নিহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের রেলওয়ের মুখপাত্র অনিল সাক্সেনা বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক দল কাজ করছে। জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁরা সব সময় যোগাযোগ রাখছেন।
এনডিটিভির খবরে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক জানিয়ে বলেছেন, তিনি দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব পুলিশের ডিজিকে উদ্ধারকাজ তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।