চোখ শুষ্ক হয়ে পড়লে খচখচে, অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। কখনো চোখ জ্বালাপোড়াও করতে পারে। চোখের কর্নিয়ার সামনে পাতলা তরলের একটি স্তর থাকে। প্রতিবার চোখের পলক পড়ার সময় এ তরলটি চোখের পুরো অংশে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নানান উপাদানসমৃদ্ধ এ তরল অংশ কোনো কারণে কমে গেলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় একটানা দীর্ঘ সময় একদিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখ শুষ্ক হতে পারে। অশ্রুগ্রন্থিসহ চোখের অন্য যেসব গ্রন্থি প্রয়োজনীয় এ উপাদানগুলো নিঃসরণ করে, তাতে সমস্যা হলে বা গ্রন্থিগুলোর নিঃসরণনালির রোগ হলেও এমনটা হতে পারে। চোখের পাতায় কোনো রোগ হলে কিংবা কোনো রোগের কারণে চোখ পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও (থাইরয়েড হরমোনজনিত এবং স্নায়বিক কিছু সমস্যায় এমন হয়) চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের শুষ্কতাকে অবহেলা করবেন না। শুষ্ক চোখে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ সমস্যায় সাধারণত কৃত্রিম চোখের পানি চোখের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়া মূল রোগের চিকিৎসা প্রয়োজন।
চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ
* একটানা দীর্ঘক্ষণ একদিকে তাকিয়ে থাকবেন না। যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা ট্যাব নিয়ে কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর এদিক-ওদিক তাকানো প্রয়োজন এবং অবশ্যই চোখের পাতা ফেলা উচিত। একটানা পড়াশোনা করার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
* শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র একটানা চালিয়ে রাখা ঠিক নয়, এতে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
* অত্যন্ত উষ্ণ আবহাওয়াও এড়িয়ে চলা উচিত।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.